
সুমন মহাপাত্র, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য, সুশোভন ভট্টাচার্য ও কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রিপোর্ট
কলকাতা: রাত পোহালেই বামেদের ব্রিগেড। শ্রমিক ও ক্ষেত মজুরদের ডাকে এই ব্রিগেডে বিপুল জমায়েতের আশা বামেদের। শেষ বেলায় জোর কদমে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। ছাব্বিশের ভোটের আগে এই ব্রিগেড থেকেই অক্সিজেন খুঁজছে বাম কর্মী, সমর্থকরা। বিভিন্ন জেলা থেকে বামেদের কর্মী, সমর্থকরা ব্রিগেডে আসছেন। রামলীলা ময়দানে ৫০০ কর্মী-সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
শহর থেকে ৮ টি বেশি মিছিল ব্রিগেডের উদ্দেশে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, সেন্ট্রাল মেট্রো সংলগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, পার্ক সার্কাস ময়দান, হেস্টিংস ক্রসিং, এক্সাইড মোড ও ডরিনা ক্রসিং থেকে আসবে মিছিল। ইতিমধ্যেই হুইলচেয়ারে ব্রিগেডে পৌঁছে গেছেন হালিশহরের রবি দাস। তবে কী সিপিএম আবার মূলে ফিরছে? ক্ষয়িষ্ণু বামেদের দেখে বিগত কয়েকবছর ধরেই এক শ্রেণির রাজনীতির কারবারিরা খানিক সমালোচকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বলছিলেন, এখন আর সিপিএম তার শ্রেণির কথা বলে না। বরং শহুরে মধ্যবিত্তদের দিকে ঝুঁকেছে। কিন্তু, শ্রমিক ও ক্ষেত মজুরদের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন হতেই সিপিএম তাঁদের হৃতগৌরব কিছুটা হলেও ফেরাতে পারবে বলে মত অনেকের। তাঁদের যুক্তি, আর এবার সেই শ্রেণির ব্রিগেড করছে সিপিআইএম। যে শ্রেণিতে নির্ভর করেই মূল কাঠামো তৈরি করেছিল সিপিআইএম।
তবে কী আবার পুরনো কাঠামোতেই আবার ফিরতে চায় সিপিআইএম? তবে কি আবার জমি শক্ত করতে শ্রেণিতেই ভরসা ফিরছে সিপিআইএমের? কয়েকদিন আগে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। তাই কি এভাবে সেই শ্রেণির হাতেই ব্রিগেড এর আয়োজন সপে দিল আলিমুদ্দিন? এখন ‘শ্রমিক ব্রিগেডের’ আয়োজন দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ বলছেন, ফের সেই ‘ক্লাসেই’ ফিরতে চাইছে সিপিআইএম। আয়োজকরাও বলছেন শ্রেণিতেই ফিরতে হবে।
নিরাপত্তা জোর পুলিশের
ব্রিগেড সমাবেশের জন্য সভা চত্বরে থাকবে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার ৬ জন, সাব-ইনস্পেক্টর পদমর্যাদা অফিসার ১২ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর পদমর্যাদা অফিসার ১২ জন, পুলিশ কর্মী ৮০ জন, মহিলা পুলিশ ১৫ জন। শুধুমাত্র ব্রিগেড সমাবেশে জন্য শহরে পিকেট থাকছে ৭ টি। তালিকায় ডোরিনা ক্রসিং, মেয়ো রোড, চৌরঙ্গী রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।