Kolkata Municipal Corporation : তৃণমূল কাউন্সিলরকে হাত তুলে সমর্থন, বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনে সৌজন্যের নজির বাম কাউন্সিলরের
CPIM Councilor supports TMC Councilor: সৌজন্যে দেখালেন বাম কাউন্সিলর। বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনে তৃণমূল কাউন্সিলরের সমর্থনে হাত তুলে সমর্থন জানান ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব (Madhuchhanda Deb)।
কলকাতা: সৌজন্যে দেখালেন বাম কাউন্সিলর। বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনে তৃণমূল কাউন্সিলরের সমর্থনে হাত তুলে সমর্থন জানান ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব (Madhuchhanda Deb)। আজ কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান নির্বাচন ছিল। আগেই দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট বরোর চেয়ারম্যান হিসেবে জুঁই বিশ্বাসের নাম জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট নির্বাচনের মাধ্যমেই চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়।
‘বয়কট করো কোনও উন্নয়ন সম্ভব নয়’
এই বরোর অধীনে ১২ টি ওয়ার্ড রয়েছে। যেগুলির মধ্যে ১১টি ওয়ার্ড রয়েছে তৃণমূলের দখলে। শুধুমাত্র ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব বিজয়ী হন। ৫ নম্বর বরোর নির্বাচনে বিজেপি কাউন্সিলর এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা যেভাবে বয়কটের রাজনীতিতে গিয়েছেন, বাম কাউন্সিলর সেই পথে যাননি। তাঁর কথায়, “বয়কট করে কোনও উন্নয়ন সম্ভব নয়। শুধু কাজের খাতিরে এসেছি তা নয়। সৌজন্যের খাতিরেও আমি জুইঁ বিশ্বাসকে সমর্থন জানিয়েছে। আমার বিশ্বাস কাজের ক্ষেত্রে বরো চেয়ারম্যান কোনওরকম দল দেখবেন না।”
তবে এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহল অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাম কাউন্সিলর বয়কট করতে পারতেন। কিন্তু সেদিকে তিনি যাননি। বরং এই বরোতে একমাত্র বাম কাউন্সিলর হিসেবে তিনি রীতিমতো নজির তৈরি করে রাখলেন।
বাম কাউন্সিলরকে সিদ্ধান্তকে স্বাগত ডেপুটি মেয়রের
দলীয় সংকীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে যে সবকিছু সম্ভব তা ঐ বাম কাউন্সিলর করে দেখালেন বলেই মত বাকি শাসকদলের কাউন্সিলরদের। এদিকে নির্বাচনে অবজার্ভার হিসেবে থাকা মেয়র পরিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “বিজেপি এখন সব জায়গায় বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি করছে। যে কারণে শুধু তারা রাজনীতির জন্যই ওই ৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান নির্বাচন বয়কট করেছে। যিনি চেয়ারম্যান হন তিনি কোনও দলের সংকীর্ণতায় আবদ্ধ থাকেন না। বিজেপি সেটা কোনওভাবেই বুঝতে পারছে না। কংগ্রেস ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারা একই রকমভাবে সংকীর্ণ রাজনীতি করছে। মধুছন্দা দেব চারবারের কাউন্সিলর। তিনি নিজে বুঝতে পেরেছেন, রাজনীতি দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি যে নজির স্থাপন করলেন তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।”