কলকাতা: আরজি করের ঘটনার রেশ কাটেনি। তার মধ্যেই জয়নগরে দশ বছরের নাবালিকাকে নিগ্রহের অভিযোগ। এ দিন,যখন নাবালিকার দেহ কাটাপুকুর মর্গে আনা হয়, সেই সময় থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম-বিজেপি সমর্থকরা। সিপিএম নেত্রী দীপ্সিতাকে টেনে মর্গ থেকে বের করার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময় বামনেত্রী চিৎকার করে পুলিশের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, ‘একবার বডি লোপাট করেছিস… শান্তি হয়নি? এবার তো দশ বছরের মেয়ে আবার?…‘
আজ দিপ্সীতা বলেন, “আমি দেখলাম তো টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরাও ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। এমনকী আপনাদের চিত্র সাংবাদিককেও মারছে। আমি ওদের প্রশ্ন করছি কী লুকোচ্ছেন আপনারা? ভিতরে এমন কী হচ্ছিল যেটা দেখতে পেলে পুলিশের অসুবিধা হচ্ছিল? তাহলে কি আরজি করের মতো কুলতলির বাচ্চা মেয়েটার বডি লোপাট করছে? কাকে বাঁচাতে?”
উল্লেখ্য, আজ নির্যাতিতার দেহ সংরক্ষণের দাবি তোলেন বাম বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তবে আচমকাই রণংদেহী মেজাজে ধরা দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের মারধর তো করেই। বাদ যায়নি সংবাদ মাধ্যম। ভাঙা হয় টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরা। মারধর করা হয় টিভি ৯ বাংলার চিত্র সাংবাদিককে। এ প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সাধারণ মানুষ জানতে চায় আর কতদিন অরাজকতা চলবে? কেন অপরাধীদের পাশে প্রাশাসন? কেন বারবার অপরাধীরা পুলিশের প্রশ্রয় পাচ্ছে?”