Kanti Ganguly: ‘সারপ্রাইজড’! নোটিস পেলেন ১০ বছর ধরে মন্ত্রী থাকা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়

SIR: কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন সব বৈধ নথিপত্র নিয়ম মেনেই জমা দিয়েছেন। তারপরও তাঁর কাছে একটি নোটিস এসেছে। আর তাতেই তিনি অবাক। তবে নির্দিষ্ট সময়ে তিনি শুনানির জন্য হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন কান্তি। নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া ওই চিঠির সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি। হাজির হবেন নির্দিষ্ট দিনে।

Kanti Ganguly: সারপ্রাইজড! নোটিস পেলেন ১০ বছর ধরে মন্ত্রী থাকা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়
Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 30, 2025 | 4:14 PM

কলকাতা: এসআইআর-এর শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর একে একে নোটিস পাচ্ছেন অনেকেই। গত শনিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে শুনানি। ডাক পেয়েছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যরাও। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের ছেলের নামে ভুল ধরা পড়েছে। আর এবার নোটিস পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।

বাংলায় সিপিএম ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও সুন্দরবন-ক্যানিং অঞ্চলে ঝড়-দুর্যোগ সামলাতে দেখা গিয়েছে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সবাই বলে থাকেন,  ‘ঝড়ের আগে কান্তি আসে…’। সেই কান্তিই পেলেন নোটিস। আগামী ২ জানুয়ারি শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে তাঁকে। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তাঁর নামে নোটিস গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর সেই নোটিস পেয়ে ‘সারপ্রাইজড’ কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশনকে একটি জবাবি চিঠিও লিখেছেন তিনি।

চিঠিতে কান্তি উল্লেখ করেছেন, ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন তিনি। ছিলেন মন্ত্রীও। এছাড়া চারবার কাউন্সিলর হয়েছিলেন, ছিলেন বরো কমিটির চেয়ারম্যানও। ১৯৮৫ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ ছিলেন কান্তি। সেইসময় বাম নেতা ছিলেন যাদবপুরের ভোটার।

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন সব বৈধ নথিপত্র নিয়ম মেনেই জমা দিয়েছেন। তারপরও তাঁর কাছে একটি নোটিস এসেছে। আর তাতেই তিনি অবাক। তবে নির্দিষ্ট সময়ে তিনি শুনানির জন্য হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন কান্তি। নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া ওই চিঠির সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি।

শুনানিতে ডাকা হয়েছিল বারসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্রকেও। পাশাপাশি শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয় তৃণমূল সাংসদের মা ও বোনকে। সেই নিয়ে সরব হন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। পরে কমিশন জানিয়ে দেন, লিংক না থাকায় শুনানির কথা বলা হয়েছে।