
কলকাতা: প্রয়াত বামনেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য। সোমবার রাতে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ অবস্থায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। বাম রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন তিনি। একসময়দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও, পরে ফের সিপিএমে ফেরেন তিনি।
এসএফআই-এর প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নেপালদেব। সিপিএমের রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সদস্যও ছিলেন তিনি। ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। এসএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে প্রথম দুটি দফায় সভাপতি ছিলেন এম এ বেবি। আর তৃতীয়বার ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি।
উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা নেপালদেব দল বিরোধী কাজের জন্য একসময় সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। বছর ছয়েকের জন্য বহিষ্কৃত ছিলেন তিনি। পরে আবার ফেরেন দলে।
নেপালদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দল। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি সিপিএম নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
কুণাল ঘোষ উল্লেখ করেন, জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রিত্বের সমর্থক ছিলেন। তিনি লিখেছেন, “সাংবাদিকতার সূত্রেই আলাপ। দারুণ আড্ডা ছিল। একটা সময়ে সিপিএম-কেন্দ্রিক সিনেমা তৈরি করেছিলেন। প্রথম শো হয়েছিল আলিমুদ্দিনে তিন তলায়। কিছুকাল আগেও সেই সিনেমা নিয়ে ফোনে কথা হল। আবার একদিন আড্ডার প্ল্যান হল। সেটা অবশ্য আর হয়ে ওঠেনি। রাজনৈতিক বিতর্ক যাই থাকুক, মানুষটা বর্ণময় ছিলেন। মনে থাকবে।”