কলকাতা : ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সিপিএমের যুব নেতা শতরূপ ঘোষকে (CPIM Leader Shatarup Ghosh) এদিনই আইনি নোটিস পাঠিয়ে এ কথা বলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। প্রেস রিলিজ, প্রেস কনফারেন্স করে নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে শতরূপকে। ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুণাল। যদিও শতরূপের সাফ জবাব, “কুণাল ঘোষ নিয়ে যা বলেছি বেশ করেছি।” যদিও টেস্ট টিউব বেবি নিয়ে মন্তব্য করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শতরূপ বলেন, “কুণাল ঘোষের মন্তব্যের জন্য যা বলার আমি ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছি। উনি ৭২ ঘণ্টা কেন, ৭২ সেকেন্ডের মধ্যে উনি মামলা করুন। কোর্টে দেখা হবে। তবে টেস্টটিউব বেবি মন্তব্যটা নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করায় আমি লজ্জিত। এটা অবৈজ্ঞানিক কথা। এটা বলা আমার উচিৎ হয়নি।”
ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? কয়েকদিন আগে শতরূপ ঘোষের উপার্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন কুণাল। প্রশ্নের মুখে পড়ে শতরূপের ২২ লাখের গাড়ি। যেখানে তিনি স্পষ্ট লেখেন, “২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামায় শতরূপের সম্পত্তির হিসেব ২ লাখ টাকা। সেই শতরূপ কীভাবে ২২ লাখ টাকার গাড়ি কিনলেন?” যদিও এ প্রসঙ্গে শতরূপের জবাব ছিল, “যে গাড়িটির কথা বলা হচ্ছে, সেটি আমি জানুয়ারি মাসে কিনেছি। এই গাড়ির টাকা আমার বাবা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের চেকে করেছেন। রাজ্যের হাতে ইকোনমিক অফেন্স উইং বলে একটি সংস্থা রয়েছে। যদি কোথাও টাকা পয়সা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে তাদের, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় না বলে সেই সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে।”
যদিও কুণালের পোস্টের খানিক পরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায় শতরূপ ঘোষকে। সেখানে গাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও প্রকাশ করেন। পাশাপাশি চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে। কুণাল ঘোষের দাবি, যে ভাষায় তোপ দাগা হয়েছে তা আদপে ব্যক্তি আক্রমণের সামিল। এতে তাঁর সামাজিক সম্মানহানি হয়েছে। এই মর্মেই এদিন নিজের অয়ন চক্রবর্তীকে দিয়ে শতরূপকে আইনি নোটিস পাঠান কুণাল। তাতে লেখা হয়, “২২ মার্চ আপনার গাড়ি নিয়ে করা কুণাল ঘোষের ফেসবুক পোস্টের পরেই আপনি একটি প্রেস কনফারেন্স করেন। যা রাজ্যের একাধিক বড় বড় সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়। যেখানে আপনি কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অপমানজনক কথা বলেছেন। আপনি বলেছেন, আমি জানি না, হতে পারে কুণাল ঘোষের বাবার হয়তো কুণাল ঘোষ ছাড়াও অনামে বেনামে আরও এদিকে-ওদিকে সন্তান ছড়িয়ে ছিলেন। ওনার বাবা হয়তো যখন কিছু কিনতেন আমি জানি না, হতে পারে, ওনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে, অফিসিয়াল আনঅফিসিয়াল, কোন সন্তানের নামে কিনবেন বুঝতে না পেরে নিজের নামেই কিনতেন। আমি জানি না উনি টেস্ট টিউব বেবি কিনা।”