পশ্চিম মেদিনীপুর ও কলকাতা : প্রকাশ করবেন বামেদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র। দুর্নীতির খতিয়ান তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। আধার পথে চাকরি প্রাপকদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ চলে গিয়েছে নীচুতলার কর্মীদের কাছে। কয়েকদিন আগেই এ কথা বলতে শোনা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গলাতেও। বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পোস্টমর্টেম হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন। এবার এই ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করলেন বাম নেতারা (CPIM Leaders)। “কী বলছেন, কী বললে কী মানে দাঁড়ায় সেই অবস্থায় উনি নেই”, তোপ সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের।
মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “২০১১ সালের ক্ষমতায় আসার আগে ওনার ইস্তেহারেই ছিল এ কথা। বলেছিলেন বাম আমলে যে দুর্নীতি হয়েছে সেই দুর্নীতি তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনবেন। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কাউকে রেহাত করবেন না। তারপর থেকে ১২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আজ অবধি কাউকে দুর্নীতির দায়ে জেলে ভরতে পারেননি, তদন্তে কিছু পাননি। এখন আবার বলছেন। গোটা দলটাই দুর্নীতির দায় অভিযুক্ত। এখন তো দলটার গায়ে চোরের দলের তকমা লেগে গিয়েছে।” সুর চড়িয়েছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চট্টোপাধ্যায়ও।
তিনি বলেন, “দিদি বাম আমলের ফাইল খুলতে গিয়ে আবার নিজেদের ফাইল যেন খুলে না ফেলেন। এর আগেও তাই বলেছিল। দেখা গিয়েছে নিজেদের ফাইল খুলে ফেলেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে আছে। এবার বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী জেলে যাবে।” একদিন আগে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। ব্রাত্যর বিরুদ্ধে কটাক্ষবাণ শানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর চাকরিটাও হয়েছিল বাম আমলে। সেটাও জেনো শ্বেতপত্রে থাকে।” বিতর্কের আবহেই শুক্রবার রাতে সিপিএমের চাকরির একটি ‘সুপারিশপত্র’ পোস্ট করে তদন্তের দাবি করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই চিরকুট ভুয়ো বলে দাবি করেছেন বাম নেতারা।