কলকাতা: কোটিপতি মনোজিৎ! তাঁর সম্পত্তির বহর নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বঙ্গবাসীর মনন। এখনও পর্যন্ত কোনও দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ায়নি। কিন্তু কনস্টেবলের ন্যূনতম বেতনের চাকরিতে কীভাবে এত সম্পত্তি! সাম্প্রতিক বাংলায় এটাই এখন চায়ের দোকানের আড্ডার বিষয়। তাঁর আবার বান্ধবীর নামেও কোটি টাকা। এই মনোজিতের ‘রঙিন’ জীবন সম্পর্কে যত তথ্য হাতে আসছে, তা রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। এতদিন ধরে মনোজিতের বান্ধবী সম্পর্কে বহু চর্চা হয়েছে। কিন্তু তাঁর নাগাল পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। এবার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের বান্ধবীর খোঁজ পেল রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা। তথ্য বলছে, মনোজিতের বান্ধবী আসলে একসময়ে তাঁর বাড়ির পরিচারিকা ছিলেন। পরিচারিকার সঙ্গেই প্রেম। আর তাঁর অজান্তেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা রেখেছিলেন তিনি। বুলা কর্মকার নামে ওই মহিলার বয়ান রেকর্ড হয়েছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, একসময়ের পরিচারিকার সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কনস্টেবল। তাঁর অ্যাকাউন্টে এই ২১ লক্ষ টাকা ও ১১.৭৫ লক্ষের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন কনস্টেবল। বান্ধবী দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারদের জানিয়েছেন, ওই কনস্টেবল তাঁকে না জানিয়েই সই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ২১ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। পরে টাকা তুলে নিয়ে শাশুড়ির অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন।
বান্ধবীর দাবি, গাড়ি তাঁর নামে কিনলেও তিনি কোনওদিন গাড়ি চড়েননি। দেখেননি। অন্যদিকে কনস্টেবল দাবি করেছেন, তাঁর এই কোটি টাকার সম্পত্তি বাবার দেওয়া। অর্থাৎ এই সম্পত্তি তাঁর পাওয়া।
মনোজিৎ বাগীশের বান্ধবীর দেওয়া তথ্য যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা। যদিও এই বুলার বিষয়ে আগে মনোজিৎ তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন, হাওড়ার বাগনানে কর্তব্যরত থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে বুলার পরিচয় হয়েছিল। তখনই বুলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও প্রেম। যদিও তখন তিনি বিবাহিত ছিলেন না। ১৯৯৬ সালে চাকরিতে যোগ দেন। তারপর ২০১৫ সালে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর তাঁর সঙ্গে বুলার সম্পর্ক ভেঙে যায়। তাঁর বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে তদন্তকারীরা আগে থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।