
কলকাতা: চলতি বছরের মার্চ মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সেই সময় ইন্দ্রানুজ রায় নামে এক ছাত্রকে গাড়ি চাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মন্ত্রী গাড়ির বিরুদ্ধে। সেই সময় জখম হন খোদ মন্ত্রীও। এবার সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত। শনিবার দমদমের তৃণমূল বিধায়ক ব্রাত্য বসু উপাচার্যকে কাক-ময়ূর বলে কটাক্ষ করতেই টিভি ৯ বাংলাকে পাল্টা শান্তা দত্ত নাম না করে যাদবপুরের ঘটনার কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন।
আজ অর্থাৎ শনিবার টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া ফোনোতে তিনি বলেন, “পরীক্ষা নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা সিন্ডিকেট নিয়েছে। আমি একা না। অথচ আমায় ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।” এরপর তিনি বলেন, “প্রাক্তন ছাত্রটি যখন সাড়ে ছ’ঘণ্টা গাড়িতে আটকে রাখে ওরা আমার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে, বসে পড়ে। এই ছেলেটি আবার আমার গাড়ির বনেটে উঠে শুয়ে পড়ে। বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেছে আমি কিন্তু গাড়ি চালিয়ে দিইনি। আমি কিন্তু চালককে নির্দেশ দিইনি ছাত্রদের উপর গাড়ি চালিয়ে দাও। আমি করিনি। আমি কেন কথাটা বলছি বুঝতে পারছেন…।”
তিনি আরও বলেন, “আমি গাড়িতেই সাড়ে ছ’ঘণ্টা বসে ছিলাম। পরে তো কোর্ট নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বহিরাগতরা ঢুকতে পারবে না। এই অর্ডার যখন গেটে লাগানো হয়, সেই কাগজ ছিড়ে দেয় ওই ছাত্রটি। তারপর কোর্টের অর্ডার আগুন জ্বালিয়ে দেয়।” তাঁর আরও সংযোজন, “এটাকে মহম্মদ বিন তুঘলকি আইন বলে। এই ছবি কিন্তু বাকি ছাত্ররা তোলে। তারপর লুকিয়ে ঢোকে। এরপর ২৮ তারিখ চূড়ান্ত নোংরা কথা বলেন। আমি আশা করেছিলাম পার্টি থেকে হয়ত ওকে বারণ করা হবে। কিন্তু সেটা করা হয়নি।”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় সেন্সর করে তৃণমূল ছাত্র নেতা অভিরূপকে। সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “কাক ময়ূরের পুচ্ছ পরলেই ময়ূর হয় না।” ‘কেয়ারটেকার’ বলেও কটাক্ষ করেন। তারই এদিন উত্তর দেন শান্তা।