DA Agitation: আচমকা খুলে ফেলা হচ্ছে DA মঞ্চ, কে ‘কলকাঠি’ নেড়েছেন, শোনালেন আন্দোলনকারীরা
DA Protest: দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ধরনা-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা। গত ১৬ দিন ধরে চলছে প্রতীকী অনশনও। কিন্তু এসবের মধ্যে রবিবার আচমকা তাঁদের মঞ্চ খুলে দেওয়ার কাজ শুরু করে ডেকরেটার্স সংস্থা। ডেকরেটার্স সংস্থার কর্মীরা ইতিমধ্যেই তাঁবু, খাঁট ও অন্যান্য জিনিসপত্র খুলে ফেলার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
কলকাতা: বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এক বছরেরও বেশি অতিক্রান্ত। আজ তাঁদের আন্দোলনের ৩৭৪ দিন। পাশাপাশি ১৬ দিন হল, অনশন মঞ্চও চালাচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। এসবের মধ্যে এবার জোর করে, চক্রান্ত করে তাঁদের অনশন মঞ্চ ও ধরনা মঞ্চ খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতাদের। রবিবার সকাল থেকেই ডেকরেটার্সের সংস্থার লোকজন এসে মঞ্চ খুলতে শুরু করে। যদিও সরকারি কর্মচারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, এরপরও তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। মঞ্চ খুলে দিলেও খোলা আকাশের নীচেই হবে তাঁদের আন্দোলন।
দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ধরনা-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা। গত ১৬ দিন ধরে চলছে প্রতীকী অনশনও। কিন্তু এসবের মধ্যে রবিবার আচমকা তাঁদের মঞ্চ খুলে দেওয়ার কাজ শুরু করে ডেকরেটার্স সংস্থা। ডেকরেটার্স সংস্থার কর্মীরা ইতিমধ্যেই তাঁবু, খাঁট ও অন্যান্য জিনিসপত্র খুলে ফেলার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের দাবি, সরকারের তরফে চক্রান্ত করেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে আরও জানানো হচ্ছে, গতকাল সেনার তরফে এক প্রতিনিধি দল এসেছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে। দাবি করা হচ্ছে, সেই সময়ও তাঁদের বলা হয় ধরনা-অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলছেন, “বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর বুকের কাটা হয়ে উঠেছিল। তিনি চলতে ফিরতে আমাদের নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছিলেন। যে কারণে, তিনিই কলকাঠি নেড়েছেন। যতই হোক, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো। কলকাতা পুলিশের কিছু আধিকারিক সেনাকে দিয়ে এটা করিয়েছেন।”
তবে এরপরও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, আইনি লড়াই চলতে থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘আমাদের কাছে আদালতের অনুমতি রয়েছে। প্রয়োজন হলে, ফাঁকা মাঠে এখানে কম্বল পেতে বসে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি চলবে।’