কলকাতা: একদিকে যখন রেড রোডে পুজোর মেগা কার্নিভালের তোড়জোড় চলছে, তখন রেড রোড থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চিত্র। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ‘বিষাদ সম্মিলনী’-র আয়োজন করা হয়েছে। একদিকে যখন কার্নিভালে আনন্দে-উচ্ছ্বাসের সুর, তখনই শহিদ মিনার চত্বরে বিষাদের সুর। বিজয়া নয়, এবার বিষাদ সম্মিলনীর আয়োজন করছেন ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। সেখানে সামিল হয়েছেন, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের একটি অংশও। গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীরাও এসেছেন এই বিষাদ সম্মিলনীতে।
আজ দিনভর বিষাদ সম্মেলনীতে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। রেড রোডে যখন দুর্গাপুজোর কার্নিভালের প্রস্তুতি চলছে, তখন ঢিল ছোড়া দূরত্বে শহিদ মিনার চত্বরে প্রতীকী শবদেহ নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি। প্রতীকী শবদেহের সঙ্গে লেখা, ‘১২ বছরে শিক্ষিত বেকারের স্বপ্নের অপমৃত্যু।’
বিভিন্ন রাজনীতিকরাও আজ ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের এই বিষাদ সম্মিলনীতে এসে সামিল হয়েছেন। বামেদের প্রতিনিধিরাও গিয়েছেন সেখানে। সৃজন ভট্টাচার্য, কলতান দাশগুপ্তরা এসেছেন এই বিষাদ সম্মিলনীতে। এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য পুজোর কার্নিভালের আয়োজনকে কটাক্ষ করে বলছেন, “এটা নির্মমতার কার্নিভাল, নিষ্ঠুরতার কার্নিভাল। এদের কি অধিকার নেই অধিকার নেই? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সবার মুখ্যমন্ত্রী নন? তাঁর কি সবার কার্নিভালের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল না? এদের ন্যায্য দাবির পাশে আমরা আছি।”
সৃজনদের বক্তব্য, ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের ও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতেই আজ তাঁরা সামিল হয়েছেন এই বিষাদ সম্মিলনীতে। এছাড়া শুক্রবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই কর্মসূচি সামিল হওয়ার কথা রয়েছে রুদ্রনীল ঘোষেরও।