Kolkata: ‘ফাঁকা’ ফ্ল্যাটে পরিচিতকে নিয়ে আসেন পরিচারক, কয়েকঘণ্টা পরই…
Kolkata: এদিন বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল অবিনাশের। কুশল ছাবড়ার স্ত্রী ও ছেলে বাড়িতে নেই। ছেলেকে নিয়ে আসানসোলে বাপের বাড়িতে গিয়েছেন কুশলের স্ত্রী।

কলকাতা: ফ্ল্যাটে গৃহকর্তা এবং তাঁর পরিবার ছিল না। সেই ‘ফাঁকা’ ফ্ল্যাট থেকেই পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। শনিবার চারু মার্কেট থানা এলাকায় ১৬ দেশপ্রাণ শাসমল রোডের একটি আবাসন থেকে অবিনাশ বাউড়ি নামে বছর বাইশের ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কুশল ছাবড়া নামে এক ব্যক্তি স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। ওই ফ্ল্যাটেই পরিচারকের কাজ করতেন অবিনাশ। ২৪ ঘণ্টাই ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। মূলত রান্নার কাজ করতেন বছর বাইশের যুবক। এছাড়া কুশল ছাবড়া শিশুপুত্রের দেখাশোনা করতেন। বাড়িতে আরও এক পরিচারিকা কাজ করেন। তিনি সকালে কাজ করে চলে যান।
এদিন বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল অবিনাশের। কুশল ছাবড়ার স্ত্রী ও ছেলে বাড়িতে নেই। ছেলেকে নিয়ে আসানসোলে বাপের বাড়িতে গিয়েছেন কুশলের স্ত্রী। গৃহকর্তাও অফিসে চলে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সেই সময় পরিচিত একজনকে ঘরে নিয়ে আসেন অবিনাশ। দুপুরের পর কুশল ফোন করতে থাকেন। ফোন একাধিকবার বেজে যায়। কেউ ফোন তোলেননি। তখন গাড়িচালককে বাড়িতে পাঠান কুশল। চালক ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। এরপর কেয়ারটেকারকে নিয়ে ফ্ল্যাটে যান। দরজা খুলে দেখে, ডাইনিং রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অবিনাশ।
এই খবরটিও পড়ুন




খবর পেয়ে আসে ডগ স্কোয়াড। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে অবিনাশকে। ওই যুবককে কেন খুন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অবিনাশের যে বন্ধু এদিন ফ্ল্যাটে এসেছিলেন, তাঁরও খোঁজ করা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার বলেন, “শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে খুন মনে হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের পর আরও পরিষ্কার হবে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।”
পাশের ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করেন নমিতা হালদার নামে এক মহিলা। তিনি বলেন, “বছর দুয়েক ধরে ওই ফ্ল্যাটে কাজ করতেন ওই যুবক। কারও সঙ্গে কখনও ঝগড়াঝাটি করতে দেখিনি। এদিন এক বন্ধুকে ফ্ল্যাটে নিয়ে এসেছিলেন ওই যুবক।”





