Debangshu Bhattacharya: ‘গদ্দাররা ফিরলে তৃণমূল ভবনে শুয়ে থাকা’র ব্যাখ্যা দিলেন দেবাংশু

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Oct 31, 2021 | 10:34 PM

Rajib Banerjee returns to TMC: সেই সময় দাঁড়িয়ে কর্মীদের উৎসাহ দেখে বলাটা প্রয়োজন ছিল। মন্তব্য তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যর।

Debangshu Bhattacharya: গদ্দাররা ফিরলে তৃণমূল ভবনে শুয়ে থাকার ব্যাখ্যা দিলেন দেবাংশু
রাজীবের প্রত্যাবর্তনের পর পুরানো মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন দেবাংশু (ছবি - ফেসবুক)

Follow Us

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে যখন একের পর এক নেতা জার্সি বদলাচ্ছিলেন, জোড়াফুলের বাগান ছেড়ে পদ্মবনে গিয়ে নাম লেখাচ্ছিলেন, তখন কিছুটা অভিমানীই হয়ে গিয়েছিলেন মমতা ব্রিগেডের তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। দলবদলু নেতাদের প্রতি রাগে, বিরক্তিতে বলেছিলেন, ‘গদ্দারেরা ফিরলে আমি তৃণমূল ভবনের সামনে শুয়ে থাকব।’ দেবাংশুর সেই ভবিষ্যদ্বাণী কিছুটা মিলছে বটে। একে একে অনেক নেতাই ভোটের ফলাফলের পর আবার গুটি গুটি পায়ে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু দেবাংশু যে দরজা আটকে শুয়ে থাকবে বলেছিল, তাঁর কথা যেন কেউ গুরুত্বই দিচ্ছে না। এই নিয়ে বাম নেতা শতরূপ ঘোষের থেকে মাঝে মাঝেই বক্রোক্তি শুনতে হয়েছে তাঁকে।

মুকুল রায়ের ঘর ওয়াপসির সময় শতরূপের খোঁচা হজম করে নিয়েছিলেন দেবাংশু। আর আজ ফের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তনের পর শতরূপ ফেসবুকে কারও নাম না করে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন। লেখেন, “একটা কচি ছেলে দরজার বাইরে শুয়ে আছে। আর কতজন পেটের উপর দিয়ে মাড়িয়ে যাবেন?” শতরূপ ঘোষের সেই পোস্ট নেট দুনিয়ায় নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে।

মুকুল রায়ের দলে ফেরার সময়েও একইরকমভাবে শতরূপের বক্রোক্তি শুনতে হয়েছিল দেবাংশুকে। তখন অবশ্য তৃণমূলের যুব নেতা বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দেননি। তবে এবার সেই পোস্টের এবার পাল্টা দিলেন দেবাংশু। নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন ফেসবুকে। লিখলেন, ‘সেই সময় দাঁড়িয়ে কর্মীদের উৎসাহ দেখে বলাটা প্রয়োজন ছিল, এবং বিশ্বাস থেকেই বলেছিলাম।’

তাঁর আরও বক্তব্য, যাঁরা সেই সময় দল ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে দল আজ ফেরত নিচ্ছে। দলের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা রয়েছে, হিসেব আছে। দেবাংশুর কথায়, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেই ক্যালকুলেশন বিজেপিকে সমূলে বিনাশ করার।’ একইসঙ্গে, তাঁর সেদিনের বক্তব্য যে একান্ত দলকে ভালবেসে, সেই কথাও আজ নিজের পোস্টে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘আমাদের দলের অফিস আমাদের মন্দির। আবেগ, অভিমান, কষ্ট, ব্যথা, ভালবাসা সবটাই দলের মধ্যে।’

পাশাপাশি, সিপিএমকেও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি। স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, “গলি গলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায় বলাটাও সিপিএমের সেই সময় প্রয়োজন ছিল। তার পরেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে হয়েছিল পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে।” ঠিক সেই রকমই গদ্দারেরা ফিরলে আমি তৃণমূল ভবনের সামনে শুয়ে থাকার প্রসঙ্গটাও দলীয় কর্মীদের উৎসাহ দেখে বলেছিলেন। সঙ্গে নিজের বর্তমান অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন দেবাংশু। লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে এই মুহূর্তে আমার একমাত্র লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে সমূলে উৎপাটন করা। তার জন্য রাজনৈতিক ভাবে যা যা করার দরকার করতে হবে।”

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘সবাইকে বাদ দেব এবার’, ‘দালাল’দের ছাঁটাইয়ের তালিকা বানাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ

Next Article