কলকাতা: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মানহানির মামলা করেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে তাঁকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী ‘হাজার কোটি টাকার মালিক’ বলে কটাক্ষবাণ শানিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই একদিন আগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন অভিষেকের বাবা। অন্যদিকে এবার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন দমদম ব্যারাকপুর জেলার সাংগঠনিক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী। যা নিয়েও শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু কী কারণে মামলা?
সূত্রের খবর, বাগুইহাটি জোড়া খুন কাণ্ডে বিজেপির পক্ষ থেকে থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিক্ষোভ কর্মসূচির মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু সরাসরি আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নিশানায় ছিলেন দেবরাজও। অভিযোগ, সেখানেই অভিষেক-দেবরাজকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্র ছাড়িয়ে যান শুভেন্দু। আর সে কারণেই এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইছেন দেবরাজ।
শুক্রবার দেবরাজ চক্রবর্তী বিধাননগর মহকুমা আদালতে এসে মানহানির মামলার পিটিশন জমা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। পিটিশনের ভিত্তিতে সাক্ষ্য গ্রহণ করার পর আদালতের নির্দেশে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার সমন পাঠিয়ে ২০২৩ সালে ২৭ জানুয়ারি শুভেন্দুকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই আবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগরের করপল্লীতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভামঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক তৃণমূলকর্মীকে মারধরের অভিযোগও সামনে এসেছে। এ ঘটনাতে আবার খুনের চেষ্টায় প্ররোচনা দেওয়া সহ একাধিক ধারায় ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী সহ নন্দীগ্রামের ২২ জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতর হয় জেলার রাজনৈতিক মহলে।