
পূর্ব মেদিনীপুর: বৃহস্পতিবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হল। আর এখনও দিনে পাঁচ লক্ষ ভক্তের ভিড় হচ্ছে মন্দিরে। বললেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমন দাস।
TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাধারমন বললেন, “মন্দির সবেমাত্র খুলেছে। মন্দির যখন উদ্বোধন হল, প্রায় ২ লক্ষ লোক এসেছিল। বৃহস্পতিবার প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ প্রভুর দর্শন করেছেন। সকাল ৬টা থেকে আমাদের মন্দির খুলে রাখতে হয়েছে।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে মন্দির রোজ সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত মন্দির বন্ধ থাকবে। আবার ৩ টে থেকে বিকাল ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। সকলেই দর্শন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রাধারমন।
জগন্নাথ মন্দির দিঘার আর্থ সামাজির চেহারাটাই আমূল বদলে দিতে চলেছে বলে দাবি করলেন রাধারমন। ইতিমধ্যেই রাশিয়া, আমেরিকা থেকে ভক্তরা আসতে চেয়ে ফোন করছেন বলে জানালেন রাধারমন। তাঁর বক্তব্য, গোটা বিশ্বের দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে।
রাধারমনের কথায়, “উদ্বোধনের দিনই ৫০ দেশের বিদেশিরা এসেছিলেন। সারা বিশ্বে এই মন্দিরের প্রচার হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে রাশিয়া, আমেরিকা থেকে ফোন আসছে। আমাদের ভক্তরা জিজ্ঞাসা করছেন, কীভাবে তাঁরা এখানে আসবেন!”
কীভাবে এই মন্দির আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটেও প্রভাব ফেলবে, তারও ব্যাখ্যা দেন তিনি। রাধারমন বলেন, “যখন এখানে হাজার হাজার ভক্ত আসবেন, তখন এই এলাকার আর্থ সামাজিক চেহারাটাই বদলে যাবে। এখানকার মানুষের লাভ হবে। হোটেল, পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের লাভ হবে। যাঁরা ফুল মালা বিক্রি করেন, তাঁদের লাভ হবে। টাকাটা তো দিঘা, মেদিনীপুরের যাঁরা লোক, তাঁদের বাড়িতেই যাবে।”
এই সূত্রে বলতে গিয়েই রাধারমন বলেন, “দুর্গাপুজো নিয়ে আইআইটি খড়্গপুর এক রিসার্চ করেছিল ২০১৮-১৯। মাত্র দশ দিনে দুর্গাপুজোর আয় ৩২ হাজার কোটি টাকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন দুর্গাপুজোয় উৎসাহ দিতে শুরু করলেন, কার্নিভাল শুরু করলেন, এই টাকার অঙ্কটাই ৮০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।”
তবে কোনওমূল্যেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে দিঘার মন্দিরের তুলনা টানতে নারাজ রাধারমন। তিনি বলেন, “পুরীর জগন্নাথ মন্দির আদি মন্দির। ওই মন্দিরের সঙ্গে কোনও মন্দিরের তুলনা হয় না। ওখানের জগন্নাথের আবির্ভাব। আর দিঘাতে জগন্নাথের আবির্ভাব, এটা বাংলার গর্ব।”