
কলকাতা: একুশে জুলাইয়ে উত্তরকন্যায় যখন গর্জে উঠলেন শুভেন্দুরা তখন খড়গপুরে আলাদা সভা করতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদের স্মরণেই শহিদ সভার আয়োজন করতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। তা নিয়ে চাপানউতোর কম হয়নি। এদিকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে আবার হেল্পলাইন চালু করে ফেলেছেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে দিলীপের কর্মসূচি নিয়ে তরজার মাত্রা বাড়তেই আসন্ন ভোটে খড়গপুর থেকে কে দাঁড়াবেন তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার জল্পনা।
দিলীপ যদিও বলছেন, দল যাঁকে ঠিক করবে তাই। হিরণও মুখে বলছেন তাই। বলছেন বিজেপি সংগঠিত পার্টি। তাই দলের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন কে কোথা থেকে ভোটে দাঁড়াবেন। আমাদের সিনিয়ররা এই সিদ্ধান্ত নেন। আমি একজন সামান্য কার্যকর্তা। ৫ বছর ঘর ছেড়ে, সিনেমা ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে বিজেপি করছি। ফলে সিনিয়ররা যা বলবেন, পার্টির গাইডলাইন যা থাকবে তা মেনেই কাজ করব।”
অন্যদিকে তাঁর বিধানসভা এলাকায় দিলীপ ঘোষ বড় কর্মসূচি করলেও দেখা যায়নি হিরণকে। হিরণ যদিও বলছেন, “আমি কলকাতায় ছিলাম। তিলোত্তমার মা-বাবার ডাকে যে নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি করছি তার প্রস্ততি পর্বের সঙ্গে আমি আছি। এই কাজেই আমি কলকাতায় ছিলাম। বিজেপি কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয় যে শুধু ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজ করবে! আমরা সব কার্যকর্তারা মিলেমিশে কাজ করি। বিভিন্ন জন বিভিন্ন কাজ করে, পার্টির নির্দেশ মেনে করে।” একইসঙ্গে বারবার তুলে ধরেন সিনেমা ছেড়ে রাজনীতিতে আসার প্রসঙ্গ, তুলে ধরেন পরিশ্রম করে পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার দাঁড় করানোর প্রসঙ্গ। বলেন, “তৃণমূলের নির্দেশে আমার সিনেমা করা বন্ধ। একুশ থেকে আমি টানা খড়গপুরেই পড়ে আছি। প্রত্যেক মাসে ২৫ হাজার টাকা করে বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকি। আমি কোনও রেলের বাংলো দখল করে নেই। আগের যিনি কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন তিনিও রেলের বাংলোতে থাকছেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে দিলীপবাবু বিধায়ক হয়েছেন। তারপর থেকে রেলের বাংলাতেই আছেন। দশ বছর ধরে ওখানেই আছেন।”