
কলকাতা: দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। গত কয়েক মাসে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। দলের রাজ্যস্তরের একাধিক নেতার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিলীপ ঘোষকে সেভাবে দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকতে দেখা যায় না। যদিও রোজই প্রাতঃভ্রমণে নিয়ম করে যান তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে বোমাবাজিতে নাবালিকা মৃত্যু নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষ নাকি নতুন দল করবেন?
উত্তর এড়াননি দিলীপ ঘোষ। তিনি সরাসরি বলেন, “আমি দল দাঁড় করিয়েছি। দল গঠন করিনি, করার দরকারও নেই। সত্তর বছর ধরে লড়াই করে আমরা একটা দল দাঁড় করিয়েছি। সেই দলই এখানকার মানুষের স্বপ্ন পূরণ করবে। নতুন দল করার দরকার নেই। আমরা ওই ধরনের রাজনীতি করি না। বাংলার বিকাশের জন্য নতুন পার্টির দরকার নেই। ভারতীয় জনতা পার্টিই যথেষ্ট। ”
কালীগঞ্জের ঘটনায় দিলীপ বলেন, “বাংলার উপনির্বাচন এইভাবেই হয়। ভোটের খুব বেশি ফারাক হয়নি। বাংলায় নির্বাচন হলেই প্রাণহানি হবে। পঞ্চায়েত থেকে পার্লামেন্ট, নমিনেশন থেকে শুরু করে ভোট গণনা, যে কোনও সময়ে খুন হতে পারে, হিংসা হতে পারে। যেভাবে একটা বাচ্চা মেয়েকে খুন করা হল, সেটা তৃণমূলের রাজনীতির নমুনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন, তবে তাঁর তো সিলেক্টিভ দুঃখপ্রকাশ।”
যদিও দিলীপের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণাল বলেছেন “দিলীপ ঘোষ তাঁর নিজের দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। দলের লাইনে ফিরতেই তিনি এসব কথা বলছেন।”