
কলকাতা: সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষের দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ- যা নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি! বৃহস্পতিবার থেকে এই বিতর্কে একাধিকবার মুখ খুলেছেন দিলীপ। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এসে এবার সেই বিতর্কের সমাপতন! দিলীপ বললেন, ” মোদীজি উদ্বোধন করলে মন্দির, মমতা করলে মন্দির নয়, এ বিচার আমার নয়।” আর কেন তিনি এ কথা বললেন, তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন।
দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনই কাঁথিতে সনাতনী ধর্মের সম্মেলন করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধতে গিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ‘অধর্মের মন্দির’ বলেছিলেন শুভেন্দু। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল দিলীপকে।
দিলীপ বলেন, “জগন্নাথ মন্দিরেও একজন দ্বৈতাপতি ছিলেন তো, উনি তো ধর্মের মন্দির বলছেন। আমি ওই বিতর্কে যাব না। আমি তো সকালে আরেকটা ধার্মিক সংস্থায় গিয়েছিলাম। তারপর দুপুরে জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছিলাম। সব ভাল, সব ধার্মিক।” আর সে সূত্রেই বিজেপির মন্দির রাজনীতির কথা বলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “আমি পলিসির কথা বলছি। যে বিজেপি মন্দির পলিটিক্স করেছে, মন্দিরকে কেন্দ্র করে আমাদের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, সেই মন্দিরকে বিজেপি বয়কট করতে পারবে। বিজেপি বয়কট করেনি। ব্যক্তিগত ব্যাপার, রুচি রয়েছে, তাঁরা বয়কট করেছেন।” সঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিলেন, যদি তাঁকে দলের রাজ্য সভাপতি বারণ করতেন তিনি যেতেন না। দলের তরফ থেকে তাঁর কাছে যে নিষেধাজ্ঞা আসেনি, তা প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছেন দিলীপ। এদিনও দিলীপ বলেন, “আমাকে যদি আমার সভাপতি বলতেন, যাবে না, আমি যেতাম না। আমি জানি নৈতিকভাবে কেউ বিজেপির বলতে পারবেন না, ওখানে যাবেন না।” যদিও সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, দিলীপের এই কাজ দল অনুমোদন করে না।
কথা বলতে গিয়ে নিজেই তোলেন রামমন্দির উদ্বোধনের কথা। তিনি বলেন, “রামমন্দির উদ্বোধন হল, সেটা সরকার করেনি। ট্রাস্ট আছে। সেখানে সাড়ে সাতশোর বেশি ভিআইপি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সামনে বসে ছিলেন। যাঁরা বসে ছিলেন, তাঁরা বহু ধর্মের লোক, বহু রুচির লোক, রামমন্দির দেখতে গিয়েছিলেন। কেন সোনিয়া গান্ধী যাননি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাননি, আমরা গালাগালি দিয়েছি।” তাঁর বক্তব্য, কোনওভাবেই ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড রাখা যায় না’। সে প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন, “মোদীজি উদ্বোধন করলে মন্দির, মমতা করলে মন্দির নয়, এ বিচার আমার নয়। রাম রাম, জগন্নাথ জগন্নাথ, বিশ্বনাথ বিশ্বনাথ! আমি তাঁর কাছে যাব। কে মন্দির উদ্বোধন করেছে, চার দিন পর লোকে ভুলে যাবে!”