AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dilip Ghosh : হাঁসখালির ঘটনায় কি ৩৫৫ ধারার দাবি? কী বলছেন দিলীপ ঘোষ

Hanskhali Physical Harassment: বিজেপির তথ্য অনুসন্ধানী দলের রিপোর্টে ৩৫৫ ধারার সুপারিশ করা হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সেই বিষয়ে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

Dilip Ghosh : হাঁসখালির ঘটনায় কি ৩৫৫ ধারার দাবি? কী বলছেন দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2022 | 8:38 PM
Share

কলকাতা : হাঁসখালির নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাপ বাড়ছে রাজ্যের উপর। নাম জড়িয়েছে রাজ্য়ের শাসক দলের এক নেতার ছেলের। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই গোয়েন্দারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে হাঁসখালির ঘটনায় একটি সত্যানুসন্ধান দলও গঠন করা হয়েছিল। বিজেপির পাঁচ সদস্যের সেই প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই হাঁসখালি থেকে ঘুরে গিয়ে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির তথ্য অনুসন্ধানী দলের সেই রিপোর্টে ৩৫৫ ধারার সুপারিশ করা হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে এই বিষয়ে সরাসরি কিছু মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “ওই কমিটিতে যাঁরা গিয়েছেন, সেই মোতাবেক তাঁরা সেই সুপারিশ করেছেন। আমি জানি না তাই বলতে পারব না। প্রত্যেকদিন সংবাদমাধ্যমে কী চলছে আমি খবর দেখি না। কী বলব… খারাপ লাগে। আর যদি কেউ চায় ৩৫৫ ধারা, ৩৫৬ ধারা… আমরা চাইছি না… বাংলার লোক চাইছে… অন্য রাজনৈতিক দলের লোকেরা চাইছেন। রোজ টিভি খুলে খুন দেখতে হয়। আমি টিভি চালাতে ভয় পাই। এই দলকে এক বছর আগেই মানুষ জিতিয়েছে। কিন্তু এখন কী পরিস্থিতি?? এই পরিস্থিতি দেখে কেউ ৩৫৫ চাইতেই পারেন।”

এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “অন্য রাজ্যের লোকেরা এলেও বাঙালি খুঁজে পেলাম না। তৈরি হচ্ছে বাইরে। বিক্রি হচ্ছে এখানে। চাকরি হবে কোথায়?” সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “বাংলা সংবাদমাধ্যমে কী দেখা যায়? তৃণমূল নেতা মুড়িমুড়কির মতো বোমা ফেলছে। এই বাস্তব পরিস্থিতি দেখে কে বিনিয়োগ করবেন? যেখানে গোলমাল সেখানেই তৃণমূল ধরা পড়ছে।”

বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে মমতার সরকারকে এক হাত নিয়ে দিলীপ বাবু বলেন, “আজ বিখ্যাত জলসা দেখলাম। আমি ওর কাছেই সিলিকন ভ্যালি সকালে দেখে এলাম। ১২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটির মৌ স্বাক্ষর হলেও বিনিয়োগ হচ্ছে না। সরকারে কেউ বিশ্বাস রাখে না বলেই বিনিয়োগ নেই। ২৮ লক্ষ কর্মসংস্থানের হিসেব নেই। মমতা বলছেন, ভারতীয়রা বাইরে বসে। শিক্ষিত শ্রমিকরা পরিযায়ী হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্বে। শিল্প সংস্থান হলে বিদ্যুৎ লাগবে, বিদ্যুতের এখানে কোনও চাহিদা নেই। জিএসটি বাড়ত, কিন্তু ২৬-২৮ হাজারেই জিএসটি আটকে রয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় বেঁচে আছে। কালি পুজো, দুর্গা পুজো ছাড়া মমতা কিছু উদ্বোধন করেন না। দূষণ মুক্ত রাখার উদ্যোগ?”

আরও পড়ুন : Physical Harassment Case: মেডিকেল বা ফরেন্সিক রিপোর্টেও উল্লেখ করা যাবে না নির্যাতিতার নাম, নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের