কলকাতা: ট্রেন্ডটা শুরু করেছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে গ্রামের রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ভোটারদের নকুল দানা বিলি করেছিলেন তিনি। গোটা রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। ‘ভাইরাল’ সদাচর্চিত অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর পঞ্চমবার নোটিস পাওয়ার পর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু এখন নকুল দানা বিলি করবেন কে? এবার অনুব্রত মণ্ডলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “আমি সবাইকে নকুলদানা খাওয়াচ্ছি। এতদিন যে নকুলদানা খাওয়াত, সে তো হাসপাতালে ভাত খাচ্ছে।”
রামমন্দিরের প্রসাদ হিসাবে নকুল দানা বিলি করেন দিলীপ ঘোষ। রামমন্দিরের প্রসাদ নকুলদানা বিলি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সোমবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি সবাইকে রামমন্দিরের প্রসাদ নকুলদানা খাওয়াচ্ছি। এতদিন যে নকুলদানা খাওয়াত, সে এখন হাসপাতালের ভাত খাচ্ছে। সেই দায়িত্বটা নিতে হবে। বাকি জীবনটা লালুপ্রসাদের মত কাটবে। তার দায়িত্ব আমরা তাই পালন করছি।”
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক নির্বাচনের সময়েই অনুব্রতর ‘দাওয়াই’ ট্রেন্ড হয়। সে ‘গুড় বাতাসা’ই হোক কিংবা ‘চড়াম চড়াম’ বা ‘রাস্তায় দাঁড়িয়ে উন্নয়ন’- শব্দবন্ধগুলি রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেলেছে। মুখে মুখে ফিরেছে তাঁর ‘ডায়লগ’। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে দলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। কেষ্টদা’র ‘দাওয়াই’ গুড়, বাতাসা এবং নকুলদানা বিলি করেন তৃণমূল কর্মীরা। আসানসোলের জামুড়িয়ার ৮২ এবং ৮৩ নম্বর বুথে এই ছবি ধরা পড়ে।
প্রসঙ্গত, সিবিআই-এর পঞ্চমবার নোটিসে যেদিন হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ৬ এপ্রিল। সেদিনই অনুব্রত মণ্ডল উডবার্ন ব্লকে ভর্তি হন। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। মাঝে মাঝেই তাঁর অক্সিজেনের দরকার পড়ছে। পিঠেও যন্ত্রণা রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখার জন্য আগেই এসএসকেএমে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়েছে।
দিলীপ ঘোষও নকুল দানা বিলি করছেন, এবং বলেছেন অনুব্রতর দায়িত্বও এখন তাঁর কাঁধে। কিন্তু এর অন্তনির্হিত কোনও মানে আদৌ আছে কি? ভাবছেন বিশ্লেষকরা।