‘মানুষ ওদের ঝেঁটিয়ে তাড়িয়েছে, তবু উৎপাত চালিয়ে যাচ্ছে’, বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে সিপিএমকে তোপ দিলীপের

Dilip Ghosh: কমিউনিস্টদের যে টুকু অবশিষ্ট রয়েছে, তাতে বাংলাকে শেষ করে ছাড়বে বলেই কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

'মানুষ ওদের ঝেঁটিয়ে তাড়িয়েছে, তবু উৎপাত চালিয়ে যাচ্ছে', বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে সিপিএমকে তোপ দিলীপের
আদি নেতাদের গুরুত্ব দিতে তত্‍পর পদ্ম শিবির, ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 8:39 AM

কলকাতা: বিশ্বভারতীর অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে এবার বামেদের কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার নিউ টাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সব জায়গায় বিলুপ্ত কমিউনিস্টরা এখন বিশ্বভারতীতে উৎপাত করছে। আর তাতে পরোক্ষ মদত দিচ্ছে রাজ্য সরকার।”

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিশ্বভারতী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সারা জীবনের সাধনার প্রতীক। বাংলার মানুষের এটা একটা স্বাভিমানের জায়গা। শুধু শিক্ষা নয়, এটা আমাদের পরিচিতি। আজ সেটাকেও রাজনীতির বাইরে রাখা হচ্ছে না। আর কারা এ সমস্ত করছে। যারা সব জায়গা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। সেই কমিউনিস্টরা। তাদের কিছু লোক! যারা সারা জীবন বিশৃঙ্খলা করেছে, এখন ওখানে গিয়ে ঢুকেছে। আর তাদের পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করছে এখানকার সরকার।”

এই মন্তব্যের সমর্থনে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “কেন্দ্রের দ্বারা যা কিছু পরিচালিত হবে, তার বিরোধিতা করতে হবে। এই ভূত মাথায় চেপে রয়েছে তৃণমূলের। ফলে কার ক্ষতি করছে বুঝতে পারছে না। বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বদনাম হয় তা তো সারা বাংলার বদনাম। সারা দুনিয়াতে এই বার্তা যাচ্ছে যে, বিশ্বভারতীতে কিছু লোক গিয়ে উৎপাত করছে। পড়াশোনা করতে দিচ্ছে না। উপাচার্যকে ঘিরে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক গিয়েছেন দেখা করতে, তাঁকে পর্যন্ত দেখা করতে দেওয়া হয়নি। খেতে দেওয়া হয়নি। আমি জানি না, এই ধরনের শিক্ষা, কালচার বাংলায় ক’দিন চলবে। এটা শুরু করেছিল যারা মানুষ তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছে। কিন্তু তারা এখনও অল্পস্বল্প যা অবশিষ্ট আছে, তা বাংলাকে শেষ করে দিয়ে যাবে।”

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্র ছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয় সম্প্রতি। তারই প্রতিবাদে গত শুক্রবার প্রথমে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস এবং পরে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাতভর ঘেরাও চলে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, উপাচার্যকে তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নিতে হবে। অনৈতিক ভাবে পড়ুয়াদের বরখাস্তও করা চলবে না। এর পর ক্রমেই অবনতি হয় বিশ্বভারতীর পরিস্থিতির।

এরই মধ্যে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এদিনের মধ্যেই অবরোধমুক্ত করতে হবে বিশ্বভারতী। ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ দেখানো চলবে না। বিশ্বভারতীর বিক্ষোভ নিয়ে অসন্তুষ্ট বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এদিন এজলাসে সওয়াল জবাব চলাকালীন বলেন, “রাজ্যের দায়িত্ব পালন দেখে আমি বেশি চিন্তিত।” বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে শুক্রবারই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলে কলকাতায় মিছিল করে বাম সংগঠনগুলি। এর আগে এসএফআইয়ের তরুণ মুখ ঐশী ঘোষ, সৃজন ভট্টাচার্যরা বিশ্বভারতীতে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে সর্বতোভাবে সমর্থনও জানিয়ে আসেন। আরও পড়ুন: ‘রাতে মা থাকে না, তখনই এসব করে! ও আমার সৎ বাবা বলেই হয়ত…’ বিস্ফোরক ষষ্ঠের ছাত্রী