Suvendu Adhikari and Dilip Ghosh: শুভেন্দুকে ঠেলে চেয়ারে বসিয়ে দিলীপ বললেন, ‘ওইটাই তো বিরোধী নেতার’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 17, 2021 | 7:07 PM

Dilip Ghosh and Suvendu Adhikari: মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদকে বিধানসভায় দেখে অবাক যেমন অনেকে হলেন, তেমনি প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতির আতিথেয়তার জন্য শশব্যস্ত হয়ে উঠতে দেখা গেল স্বয়ং বিরোধী দলনেতাকে।

Follow Us

কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন তাঁর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কোনও বিরোধ নেই। তাঁরা দু’জনেই মেদিনীপুরের মানুষ। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ আবার জানান, শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। বঙ্গ বিজেপি-র এই দুই নেতার সম্পর্ক ঠিক কোন খাতে বইছে, এ নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। তার মধ্যে বুধবার বিধানসভায় যে শুভেন্দু ও দিলীপকে যেভাবে দেখা গেল তাতে হয়ত কিছুটা স্বস্তি বোধ করবেন বিজেপি নেতাদের একাংশই। কেন?

বুধবার হঠাৎই বিধানসভায় হাজির হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদকে বিধানসভায় দেখে অবাক যেমন অনেকে হলেন, তেমনি প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতির আতিথেয়তার জন্য শশব্যস্ত হয়ে উঠতে দেখা গেল স্বয়ং বিরোধী দলনেতাকে। শুভেন্দুকে দেখা গেল নিজের হাতে করে চেয়ার টেনে আনলেন ‘দিলীপদা’র জন্য।

এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু পিকচার তখনও বাকি। দিলীপবাবু বসতে যাবেন তাঁর আসনে, ঠিক সেই সময় শুভেন্দুর চোখ গেল নিজের চেয়ারে আচ্ছাদিত দুধসাদা তোয়ালেটার দিকে। দিলীপের সামনে নিজের আসনটা আলাদা করতে ‘কিন্তু’ বোধ হচ্ছিল হয়ত তাঁর। তাই মুহূর্তের মধ্যে হাত ঘুরিয়ে সেটা টান মেরে সরাতে চাইলেন শুবেন্দু। কয়েক মিলি সেকেন্ডের ব্য়বধান। ঝট করে উঠে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে শুভেন্দুকে আটকালেন দিলীপ। এদিকে শুভেন্দু তোয়ালেটা সরাবেনই। দিলীপ আবার সেটা কিছুতেই সরাতে দেবেন না।

শুভেন্দুর এক হাত ধরে আলতো ঠেলা দিয়ে সরিয়ে তাঁর সহাস্য মন্তব্য, ‘ওইটাই তো বিরোধী নেতা।’ হেসে ফেললেন দু’জনেই। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথা মেনে তোয়ালে সাজানো কালো চেয়ারটাতে বসেই পড়লেন। বাদ বাকি বিধায়করাও তখন হো-হো করে আসছেন। তার পর বসে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ-আলোচনা হল বিজেপি বিধায়কদের। সঙ্গ দিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপির দুই নেতার সম্পর্ক নিয়ে যে এত আলোচনা, তা যেন খানিকটা কাহিনি মনে হল এদিন। মনে হল, সবই তো ঠিক আছে।

আসলে অধুনা রাজ্যের বিরোধী নেতা ও প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতির সম্পর্কটা অম্লমধুর বলে থাকেন অনেকে। তৃণমূলে থাকাকালীন তো পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ‘অধিকারী ব্রাদার্স অ্যান্ড সন্স’ কোম্পানি তুলে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আবার শুভেন্দুও কম যাননি। ২০১৯ সালের খড়গপুর উপনির্বাচনে বিজেপি শিবিরকে পর্যুদস্ত করে দিলীপকে উদ্দেশ্য করে তাঁর কটাক্ষ ছিল ‘হারাধন ঘোষ’। তবে এদিনের দৃশ্য দেখিয়ে অনেক বিজেপি নেতা বলছেন সেসব এখন অতীত। হরিহর আত্না না হলেও শুভেন্দুদা ও দিলীপদার সম্পর্ক মোটেই খারাপ নয়। ওসবও আসলে বিরোধী শিবিরের সাজানো কথা, রটানো কাহিনি।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: এখনই কড়া ব্যবস্থা নয়, তিনটি মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল 

কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন তাঁর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কোনও বিরোধ নেই। তাঁরা দু’জনেই মেদিনীপুরের মানুষ। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ আবার জানান, শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। বঙ্গ বিজেপি-র এই দুই নেতার সম্পর্ক ঠিক কোন খাতে বইছে, এ নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। তার মধ্যে বুধবার বিধানসভায় যে শুভেন্দু ও দিলীপকে যেভাবে দেখা গেল তাতে হয়ত কিছুটা স্বস্তি বোধ করবেন বিজেপি নেতাদের একাংশই। কেন?

বুধবার হঠাৎই বিধানসভায় হাজির হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদকে বিধানসভায় দেখে অবাক যেমন অনেকে হলেন, তেমনি প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতির আতিথেয়তার জন্য শশব্যস্ত হয়ে উঠতে দেখা গেল স্বয়ং বিরোধী দলনেতাকে। শুভেন্দুকে দেখা গেল নিজের হাতে করে চেয়ার টেনে আনলেন ‘দিলীপদা’র জন্য।

এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু পিকচার তখনও বাকি। দিলীপবাবু বসতে যাবেন তাঁর আসনে, ঠিক সেই সময় শুভেন্দুর চোখ গেল নিজের চেয়ারে আচ্ছাদিত দুধসাদা তোয়ালেটার দিকে। দিলীপের সামনে নিজের আসনটা আলাদা করতে ‘কিন্তু’ বোধ হচ্ছিল হয়ত তাঁর। তাই মুহূর্তের মধ্যে হাত ঘুরিয়ে সেটা টান মেরে সরাতে চাইলেন শুবেন্দু। কয়েক মিলি সেকেন্ডের ব্য়বধান। ঝট করে উঠে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে শুভেন্দুকে আটকালেন দিলীপ। এদিকে শুভেন্দু তোয়ালেটা সরাবেনই। দিলীপ আবার সেটা কিছুতেই সরাতে দেবেন না।

শুভেন্দুর এক হাত ধরে আলতো ঠেলা দিয়ে সরিয়ে তাঁর সহাস্য মন্তব্য, ‘ওইটাই তো বিরোধী নেতা।’ হেসে ফেললেন দু’জনেই। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথা মেনে তোয়ালে সাজানো কালো চেয়ারটাতে বসেই পড়লেন। বাদ বাকি বিধায়করাও তখন হো-হো করে আসছেন। তার পর বসে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ-আলোচনা হল বিজেপি বিধায়কদের। সঙ্গ দিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপির দুই নেতার সম্পর্ক নিয়ে যে এত আলোচনা, তা যেন খানিকটা কাহিনি মনে হল এদিন। মনে হল, সবই তো ঠিক আছে।

আসলে অধুনা রাজ্যের বিরোধী নেতা ও প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতির সম্পর্কটা অম্লমধুর বলে থাকেন অনেকে। তৃণমূলে থাকাকালীন তো পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ‘অধিকারী ব্রাদার্স অ্যান্ড সন্স’ কোম্পানি তুলে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আবার শুভেন্দুও কম যাননি। ২০১৯ সালের খড়গপুর উপনির্বাচনে বিজেপি শিবিরকে পর্যুদস্ত করে দিলীপকে উদ্দেশ্য করে তাঁর কটাক্ষ ছিল ‘হারাধন ঘোষ’। তবে এদিনের দৃশ্য দেখিয়ে অনেক বিজেপি নেতা বলছেন সেসব এখন অতীত। হরিহর আত্না না হলেও শুভেন্দুদা ও দিলীপদার সম্পর্ক মোটেই খারাপ নয়। ওসবও আসলে বিরোধী শিবিরের সাজানো কথা, রটানো কাহিনি।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: এখনই কড়া ব্যবস্থা নয়, তিনটি মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল 

Next Article