Dilip Ghosh: ‘ব্যারাকপুরে বোম পড়লে, খুন হলেই অর্জুনের নাম ওঠে, ওঁর কি এজেন্সি আছে?’
TMC Leader Murder Case: তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় গান্ধীঘাটে মহাত্মার স্মরণ দিবস অনুষ্ঠানে ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন না বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
কলকাতা: কিছুতেই ব্যারাকপুরে থামানো যাচ্ছে না দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। পর পর লাগাতার ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী খুন, হালিশহরে বোমাবাজি, ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুন, একের পর এক ঘটনায় নাম উঠে এসেছে ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)। প্রত্যেক ঘটনাতেই অর্জুন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কাউকে না কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকমাস আগেই সাংসদের বাড়িতেই বোমাবাজি হয়েছিল। এ বার অর্জুনের পাশে দাঁড়ালেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দাবি, অর্জুন কোনও এজেন্সি চালান না, যে ব্যারাকপুর বোম পড়লে বা খুন হলেই তাঁর নাম জড়াতে হবে। বরং পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক বলেই দাবি করেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের কথায়, “যখনই ব্যারাকপুরে কোনও বোমা ফাটবে, খুন হবে সবসময় অর্জুন সিংয়ের নাম জড়াবে। কেন অর্জুন কি এজেন্সি খুলে রেখেছেন? নিজেরা কাটাকাটি করবে আর আমাদের দলের সাংসদের নামে সেই দোষ চাপাবে। আমাদের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকেও নানাভাবে আটকানোর চেষ্টা চলছে। ইচ্ছে করেই আমাদের দলের নেতাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
বস্তুত, ইছাপুরে তৃণমূল নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কার্যত শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন ইছাপুরের তৃণমূল নেতা গোপাল মজুমদার। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই খুনের হুমকি পাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা। তাঁর স্ত্রী শিপ্রা মজুমদারকেও কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু দুজনেই সেযাত্রায় পালিয়ে বাঁচেন তাঁরা।
ফের শনিবার রাতে গোপালবাবুর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। তখনই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ বর্মা বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে পৌঁছন। ঘটনায়, বিজয় মুখোপাধ্যায় নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই বিজয় ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ।
ইতিমধ্যেই, তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় গান্ধীঘাটে মহাত্মার স্মরণ দিবস অনুষ্ঠানে ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন না বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কেন এক মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁকে সে প্রসঙ্গে খোদ বনমন্ত্রীর মন্তব্য, “আমি কোনও খুনীর সঙ্গে মঞ্চ কিছুতেই ভাগ করতে পারব না। ইছাপুরে আমাদের দলের নেতা খুন হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সাংসদের যোগ রয়েছে। তেমন একজন ক্রিমিনালকে পাশে বসিয়ে রাজ্যপাল অনুষ্ঠান করছেন। আমি কিছুতেই তাতে ওঁদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করব না।” এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন: জামিন খারিজ বিকাশের, কয়লাপাচারকাণ্ডে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ, SSKM থেকে রিপোর্ট দায়ের CBI-এর