কলকাতা : রাজ্যে ৩৫৬ ধারা (Article 356) জারি করা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে বার বার কথা হয়েছে। শুধু বিজেপিই নয়, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও দাবি করেছিলেন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করা নিয়ে। বুধবার সেই নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বললেন, রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করার সময় এসেছে। তাঁর কথায়, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি। একটা সরকার জনমত নিয়ে এসেছে একবছরও যায়নি। তার মধ্যে ৩৫৬ দাবি উঠছে মানে সরকার কতটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গিয়েছে।”
দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি জানি না সাংবিধানিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে এটা কীভাবে হতে পারে। তবে এটা ঠিক আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও বলেছি, কিছু একটা রাস্তা বের করতে, যাতে বিষয়টি সাংবিধানিক ব্যবস্থার মধ্যে হয়। সমাজ থেকে আওয়াজ উঠছে, ৩৫৬ ধারা জারি করুন। একটা সরকারকে সাধারণ মানুষ পূর্ণ বহুমত দিয়েছে, তারপর এক বছরও হয়নি। সেই সরকারকে ফেলে দেওয়ার, ভেঙে দেওয়ার দাবি উঠছে। তারমানে সরকার কতটা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, কতটা জনবিরোধী হয়ে উঠেছে।”
সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি যে ভাবধারায় বিশ্বাসী, তাতে আমরা কোনও জায়গায় ৩৫৬ ধারা করি না। একাধিকবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকেছি, কিন্তু আজ পর্যন্ত করিনি। কিন্তু এই মুখ্যমন্ত্রী যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, তখন রাম মন্দির আন্দোলনের পরে যখন সমস্যা হয়েছিল, তখন তিনি দাবি করেছিলেন বিজেপি সরকার ভেঙে দাও। চারটে সরকারকে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই রাস্তায় এখনও যাইনি। কিন্তু মানুষ দাবি করছেন। মানুষ ভাবছেন আর কোনও রাস্তা নেই। আদালত ছিল, সেটাও দখল করা হয়েছে। এখন আমার মনে হয় ৩৫৬ ধারা জারি করার সময় এসে গিয়েছে।”
কী বলা রয়েছে ৩৫৬ ধারায়? সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী কোনও রাজ্যের সরকার যদি রাজ্যে শাসন চালাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার ওই রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিজের হাতে তুলে নিতে পারে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ৩৫৬ ধারা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, ৩৫৬ ধারা জারি করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বাধ্য করছে রাজ্য।
এদিকে লাগাতার ৩৫৬ ধারা জারির দাবির পাল্টা মুখ খুলেছে তৃণমূল শিবিরও। কিছুদিন আগে বালিগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “৩৫৬ ধারা জারি করলে ২৫০ আসন পাবে তৃণমূল।”