Dilip Ghosh: টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন শাহ, দিলীপ জানালেন কমপক্ষে কত আসন পেতে হবে

Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্য দিনে দিনে হিংসা-দুর্নীতির আখড়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, "এ রাজ্যের মন্ত্রীরা দুর্নীতি করে জেলে গিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী জেলে বসে আছেন। শিক্ষার সর্বনাশ করেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও শেষ। এ রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থারই চিকিৎসা দরকার। বাকি ছিল খাদ্য। তাও গিয়েছে।"

Dilip Ghosh: টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন শাহ, দিলীপ জানালেন কমপক্ষে কত আসন পেতে হবে
দলীয় কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2023 | 6:35 PM

কলকাতা: পুজোর পর ফের বিজেপির রাজ্য দফতরে দিলীপ ঘোষ। দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে দিলেন ভোকাল টনিকও। সোমবার মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ২০২৪-এ ৪০০ পার করে নরেন্দ্র মোদীকে আবার প্রধানমন্ত্রী করা।” এদিন দিলীপ ঘোষের গলায় বারবার শোনা গিয়েছে, গ্রামেগঞ্জে কর্মীরাই সংগঠনের বুনিয়াদ। তাঁদের লড়াই-ই জয় এনে দেয়।

দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য ২০১৯ সালে আপনারা লড়াই করেছিলেন। তার আগে বিজেপি একটা দু’টো সিট জিতত বাংলায়। কিন্তু বাংলার মানুষ সে বছর ঠিক করলেন দেশের জন্য মোদী চাই। আর আপনারা কর্মীরা গ্রামেগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় লড়াই করেছেন। অনেকে মারা গিয়েছেন। অনেকে মার খেয়েছেন। বাড়িঘর, দোকান ভেঙে দিয়েছে। তবে তাঁরা ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তবু দল ছাড়েননি। সেই সমস্ত কর্মীরাই ২০১৯ সালে লড়াই করে বাংলা থেকে ১৮টা সিট জিতিয়েছিলেন।”

দিলীপ ঘোষের কথায়, বিজেপির লক্ষ্য ২০২৪-এ ৪০০ পার করা। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “পশ্চিমবাংলায় গতবার অমিত শাহ ২২ টার্গেট দিয়েছিলেন। আপনারা ১৮ জিতিয়েছিলেন। এবার ৩৫ টার্গেট দিয়েছেন। ৩০ তো পার করতেই হবে। জল যেদিকে গড়াচ্ছে, মানুষের কাছে কোনও বিকল্প নেই। ৩০ নয়, ৩৫ও পারও হয়ে যেতে পারে। যদি গুজরাটে ২৫-এ ২৫ হয়। যদি দিল্লিতে ৭-এ ৭ হয়, রাজস্থানে ২০তে ২০ হয়, বাংলায় ৪২-এ ৪০ কেন হবে না?”

দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্য দিনে দিনে হিংসা-দুর্নীতির আখরা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “এ রাজ্যের মন্ত্রীরা দুর্নীতি করে জেলে গিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী জেলে বসে আছেন। শিক্ষার সর্বনাশ করেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও শেষ। এ রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থারই চিকিৎসা দরকার। বাকি ছিল খাদ্য। তাও গিয়েছে। ওদের পতনের সীমা এসে গিয়েছে। দেশকে বাঁচাতে মোদীজীকেই প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।”