Dilip Ghosh: ‘যত অ্যান্টি-সোশ্যাল সব টিএমসি-র ঝাণ্ডা নিয়ে ঘোরে, কাউকে অ্যারেস্ট করা হয় না’
Dilip Ghosh: রবিবার রাতে শহরের (Howrah) বুকে গুলিবিদ্ধ হন হাওড়ার এক ব্যবসায়ী। সেই দুষ্কৃতী-তাণ্ডব নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
কলকাতা: খাস কলকাতায় (Kolkata) চলেছে গুলি। কলকাতার বুকে রাত সাড়ে ১০ টায় রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে একদল দুষ্কৃতী। শহরে এমন ঘটনা প্রথমবার নয়। গত কয়েক মাসে একাধিকবার এমন গুলি চালনো ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। সেই প্রসঙ্গেই এবার শাসক দলের দিকে আঙুল তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের (TMC) মদতেই এ ভাবে শহর তথা গোটা রাজ্য জুড়ে দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়ে চলেছে। তৃণমূলের আশ্রয়েই এত বাড়বাড়ন্ত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সোমবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, রাজ্য জুড়ে যে সব সমাজ বিরোধীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা সবাই তৃণমূল আশ্রিত।
শহরের বুকে কেন এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শুধু কলকাতা নয় গোটা রাজ্যে একই অবস্থা। আর কাউকে গ্রেফতার করা হয় না, কারণ তারা দলের লোক। দিলীপের কথায়, ‘যত সমাজ বিরোধী রয়েছে সবাই তৃণমূলের আশ্রয়ে রয়েছে। সবাই তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে ঘোরে। কেউ কেউ তৃণমূলে পদ পেয়ে গিয়েছে, নেতাও হয়ে গিয়েছে। এরাই পুরো সমাজকে ব্যস্ত করে রেখেছে।’ বিজেপি সাংসদের বলেন, ‘বোমা, গুলি, বন্দুক তো রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকল রাতে এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। মিন্টো পার্কের কাছে গোর্কি সদনের সামনে হাওড়ার ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিং-কে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি আত্মীয় ও বন্ধুদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে অন্তত ১০-১৫ জন ছিল বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীর বন্ধুরা। তবে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই গুলি চালানোর ঘটনা বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ সামনে আসেনি।
অন্যদিকে, প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূল যুব নেতা চঞ্চল বক্সির খুনের ঘটনা নিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন অনুব্রত। কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি বলেছিলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে যদি অপরাধী ধরা না পড়ে, তাহলে খুব ভয়ানক খেলা খেলে দিয়ে যাব।’ শুধু তাই নয়, তিনি বলেছিলেন অপরাধী যদি দলের কেউ হয়, তাহলে আগে গুলি করে তাকে মেরে দেওয়া উচিত। এ দিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনিই ক্রিমিনালকে ঘরে লুকিয়ে রেখেছেন। আর উনিই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আগে ওনার ঘরে সার্চ করা উচিৎ।’
আরও পড়ুন: অধিকারী গড়ে তৃণমূলের শক্তি পরীক্ষা! আজ কাঁথিতে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের ফুল বদলের সম্ভাবনা