AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সরকারি পদ ছাড়লেন কর্নেল দীপ্তাংশু, ‘ঘর ওয়াপসি’ কি সময়ের অপেক্ষা

দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন দীপ্তাংশু। একইসঙ্গে সরকারের গ্রিভান্স মনিটরিং সেলের দায়িত্বও সামলাতেন অবসরপ্রাপ্ত এই কর্নেল।

সরকারি পদ ছাড়লেন কর্নেল দীপ্তাংশু, 'ঘর ওয়াপসি' কি সময়ের অপেক্ষা
কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী।
| Updated on: Dec 17, 2020 | 3:53 PM
Share

কলকাতা: সরকারি সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন দীপ্তাংশু। একইসঙ্গে সরকারের গ্রিভান্স মনিটরিং সেলের দায়িত্বও সামলাতেন অবসরপ্রাপ্ত এই কর্নেল। তাঁর পদ ছাড়া ঘিরেও শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি থেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রশ্ন, তবে কি ‘ঘর ওয়াপসি’র পথে হাঁটবেন তিনি।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু সরতেই ইস্তফা পাঁচ নেতার, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বিজেপি

দীপ্তাংশু চৌধুরীর পদত্য়াগ পত্র।

দীপ্তাংশু জানিয়েছেন, কাজ করতে গিয়ে তাঁকে নানারকম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। তাই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলে ভাঙনের খবর। নিমতৌড়িতে সভার পরই দল ছেড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই সামনে এল দীপ্তাংশুর পদ ছাড়ার ঘোষণা। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপ্তাংশু। তথ্য় প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ দীপ্তাংশুকে সে বছর আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীও করা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন।

এরপর থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন তিনি। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় তাঁকে। নবান্নে তৈরি হওয়া গ্রিভ্যান্স মনিটরিং সেলেরও উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। এদিন প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দীপ্তাংশু জানান, তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করার জন্য নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রেখেছেন। বহু মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু গত কয়েক মাসে দলের তাঁর প্রতি যে ব্যবহার তা যন্ত্রণা দিয়েছে। তাঁর নিজেকে দলে অপ্রয়োজনীয় বলেও মনে হয়েছে। তাঁর দেওয়া সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। সে কারণেই স্বেচ্ছায় তিনি এই সমস্ত পদ ছাড়ছেন।

আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুবাবুর সহায়তা কেন্দ্র’ গেরুয়া থেকে ফের নীল-সাদা, কার্যালয় পুনরুদ্ধার তৃণমূলের

উল্লেখ্য, বুধবার বিধায়ক পদ ত্যাগ করার পর বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বাড়িতে একাধিক তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানেই চমকে দেয় দীপ্তাংশুর উপস্থিতি। জল্পনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর পদ ছাড়ার পর বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সকলে যখন দল ছাড়তে ব্যস্ত, দীপ্তাংশু তখন ‘ঘর ওয়াপসি’র পথে।