কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। বিতর্কের আবহেই কিছুদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Education Board) সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattyacharya) জায়গায় নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য গৌতম পাল (Gautam Pal)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বারবার আগামীতে প্রাথমিকে স্বচ্ছ নিয়োগের বিষয়ে জোরালো সওয়াল করেছেন। এমনকী ‘দুর্নীতিহীন’ নিয়োগের ক্ষেত্রে যে তিনি বদ্ধপরিকর তাও বারাবরই বলেছেন তিনি। এদিকে এবার ফের চাকরিপ্রার্তীদের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েও নয়া বার্তা দিতে দেখা গেল গৌতমকে। একইসঙ্গে ‘কলেজ সার্ভিস কমিশনে পাশ করলেই কি সকলে চাকরি পান?’ টেটে নিয়োগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এ কথাও বলতে শোনা গেল তাঁকে।
এদিন গৌতম পাল বলেন, “আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের প্রতি আমার যথেষ্ট সহমর্মিতা রয়েছে। আমি তাঁদের কাছে অনুরোধ করছি তাঁরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিক। কলেজ সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা হয়। যাঁরা পাশ করেন প্রতি বছর তাঁরা কী সকলে নিয়োগ পান? যেমন একটা বিষয়ে ৫০ টা পদ, ১০০ জননে প্যানেলভুক্ত করা হল। বাকি ৫০ জন তো চাকরি পেলেন না। তার মানে তাঁরা বলতে পারেন না পরবর্তী প্যানেলে আমি ইন্টারভিউ দেব না।”
তাঁর কথায় উঠে আসে নিট পরীক্ষার কথাও। গৌতম বলেন, “নিট পরীক্ষা হয় প্রতিবছর। গোটা দেশে স্নাতক স্তরে মেডিকেলে প্রায় ১ লক্ষের বেশি আসন। কিন্তু নিট পরীক্ষায় পাশ করেন ৮ লক্ষের বেশি পড়ুয়া। তাই যে ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী পাশ করলেন না তাঁরা কী আন্দোলন করবেন? তাঁরা কী বলবেন প্রত্যেক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করাতে হবে, নাহলে পরবর্তী নিট নেওয়া যাবে না। এটা অধিকারের মধ্যে পড়ে না।” প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর হতে চলেছে টেট পরীক্ষা। জারি হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞপ্তি। আগামীর এই পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া হতে চলেছে বলেও এদিন জোরালো ভাষায় দাবি করলেন গৌতম। এমনকী প্রয়োজনে আগামীতে নিয়োগ এবং টেট সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।