
কলকাতা: জুড়ে গেল পুরী-কৃষ্ণনগর। চার হাত এক করলেন প্রাক্তন সাংসদ ও বর্তমান সাংসদ। বৃহস্পতিবার, গোটা দিন সমাজমাধ্য়মে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও পুরীর প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্রের বিবাহবন্ধনের ছবি।
জানা গিয়েছে, জার্মানির বার্লিন প্রাসাদের ছাদে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই দুই রাজনীতিক। ৫১ বছরের মহুয়ার এটা দ্বিতীয় বিবাহ। এমনকি, পিনাকীও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে দ্বিতীয়বার। কিন্তু বিয়ের পরেও টিভি৯ বাংলাকে সব ছবি ‘ভুয়ো’ বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য বেলা গড়িয়ে সন্ধে হতেই মন্তব্য বদল। পিনাকী ও তাঁর ছবি নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিয়ের ব্যাপারটা ইঙ্গিতে নিশ্চিত করেন তিনি।
কিন্তু দ্বিতীয় বিবাহ যখন, এর আগে কার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন মহুয়া? তৃণমূল সাংসদের সেই বিবাহবন্ধন আজকের নয়। কাদা-মাটির রাজনীতিতে নামার আগে মহুয়া দীর্ঘ দিন কাটিয়েছেন মার্কিন অর্থলগ্নি সংস্থা ‘জেপি মর্গ্য়ান অ্যান্ড চেস’-এ। সেখানে তিনি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসাবে কাজ করতেন। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন।
জীবনের সেই পর্বেই মহুয়ার পরিচয় হয়েছিল ডেনিশ ফিনান্সার লার্স ব্রর্সনের সঙ্গে। পরবর্তী তারা বিয়েও করেন। কিন্তু তাতেও ছেদ পড়ে। নিজের এই প্রথম দিকের জীবন নিয়ে কখনওই বিশেষ কিছু ব্যক্ত করতে দেখা যায় না মহুয়াকে। একটা বিয়ে হয়েছিল ও পরে বিচ্ছেদ। জনমানসে এতটাই জানে। একটু কাটাছেঁড়া করে জানা গিয়েছে, মহুয়ার সেই প্রাক্তন স্বামী আবার বিয়ে করেছেন। তার একটি সন্তানও রয়েছে।
উল্লেখ্য, মহুয়ার জীবনে চর্চা দিক থেকে সব থেকে বেশি জায়গা নিয়েছিল তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। গোড়ায় মধুর সম্পর্ক, কিন্তু সময়ের সঙ্গে বাড়ে তিক্ততা। পরিস্থিতি এতটাই হাতে বাইরে চলে যায় যে পোষ্যের মালিকানা নিয়েও জয়-মহুয়ার মধ্যে চলা বিতণ্ডা থানা-পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছয়। এমনকি, সম্প্রতি মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঘুষের বিনিময় উপঢৌকন মামলাতেও আসরে নেমেছিলেন দেহাদ্রাই।