Doctor’s Protest: আমরণ অনশন প্রত্যাহার করেও আরও ‘বড়’ কর্মসূচির ডাক ডাক্তারদের
Doctor's Protest: এ দিন, নবান্ন থেকে ফিরে এসে প্রায় এক ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে জিবি মিটিং করেন জুনিয়র ডাক্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ চলা বৈঠকে খুব একটা যে তাঁরা খুশি হননি সে কথা পরে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার।
অরিত্র ঘোষ ও সৌরভ দত্তের রিপোর্ট
কলকাতা: নবান্নের বৈঠকের পরই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি অনশন প্রত্যাহার করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা? অবশেষে সেই জল্পনারই হল সমাধান। অনশন তুললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি আগামী মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন তাও তুলে নিলেন তাঁরা। তবে এও জানালেন, তিলোত্তমার মা-বাবার অনুরোধেই এই অনশন তুলে নিয়েছেন তাঁরা। তবে এরপরও থেকে গিয়েছে ‘কিন্তু’। কারণ অনশন তুললেও আন্দোলনের পথ তাঁরা ছাড়বেন না। ডাক দিলেন আরও এক কর্মসূচির।
এ দিন, নবান্ন থেকে ফিরে এসে প্রায় এক ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে জিবি মিটিং করেন জুনিয়র ডাক্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ চলা বৈঠকে খুব একটা যে তাঁরা খুশি হননি সে কথা পরে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার। বলেন, “এই বৈঠকে প্রশাসনের শরীরী ভাষা পজিটিভ লাগেনি। কারণ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ব্যাজ পরে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওখানে আমাদের প্রিন্সিপালদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন। প্রশাসনের শরীরী ভাষা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।”
সঙ্গে এও জানিয়েছেন তবে এই অনশন তাঁরা প্রত্যাহার করছেন শুধু মাত্র তিলোত্তমার মা-বাবার অনুরোধে। দেবশিস বলেন, “তিলোত্তমার মা-বাবা ও সমাজের বিশিষ্টজনের কথার সম্মান রেখে আমরণ অনশন প্রত্যাহার করছি। এই গোটা বিষয় রাজি করাতে কাকু-কাকিমা রাজি করিয়েছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ধর্মঘটও প্রত্যাহার করলাম।” তবে আন্দোলন থামছে না বলেও জানালেন চিকিৎসকরা। দেবশিস বলেন, “আগামী শনিবার আরজি করে মহা গণ কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।”