কলকাতা: তিলোত্তমা ধর্ষণ খুনে ৫০ দিন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার্স ডক্টরস ফ্রন্টের ডাকে গণ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে। ধনধান্য অডিটোরিয়াম-সহ অন্য কোনও হলে জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালেই কনভেনশন করার সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে টানা অবস্থানে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘদিন কর্মবিরতিতে সামিল ছিলেন না। এখন তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে আরজি করের সামনে এখনও প্রতিবাদ অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে ২৩ টি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা একটি ফ্রন্ট তৈরি করেছেন। তাঁরা তিলোত্তমা কাণ্ডের ৫০ তম দিনে আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা স্থির করার জন্য গণকনভেশনের ডাক দিয়েছেন। সিনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্টজনেরাও থাকবেন।
ধনধান্য অডিটোরিয়ামের তরফে মৌখিক অনুমতি মিলেছিল বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি। কিন্তু পরবর্তীকালে অজ্ঞাতকারণে সেই অনুমতি বাতিল হয়ে যায়। পাশাপাশি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি জায়গায় সঙ্গীতানুষ্ঠানের পর আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানেও অজ্ঞাত কারণে অভ্যন্তরীণ নীতিকে সামনে রেখে অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়। সে কারণেই শুক্রবার বিকাল চারটেয় এসএসকেএমে চিকিৎসকরা গণকনভেনশন করবেন।
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, “এটাও আমার মনে হয় থ্রেট কালচারেরই অংশ। আমরা তো প্রথম থেকেই বলেছি, আমাদের আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রঙ নেই। সেই জায়গায় ধনধান্য না দেওয়া, আমার মনে হয় কর্মসূচিকে বাধা দেওয়া। যেমন আরজিকরের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়েছিল। সেরকমই একটা বিষয়।”
সিনিয়র চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “এখন আন্দোলন গণআন্দোলনের চেহারা নিয়েছে। সেইখানে দাঁড়িয়ে কোন জুনিয়র চিকিৎসক কোথায় দাঁড়িয়ে মিটিং করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রতিটা রাজপথে ধ্বনিত হচ্ছে কন্ঠস্বর। কিন্তু আন্দোলনের সঙ্গে সরকারের অবিশ্বা, ভরসাহীনতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে! সেটা মেরামতির প্রয়োজন। আর সেক্ষেত্রে সরকারকেই যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।”