
কলকাতা: যুবভারতী-কাণ্ড নিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সুর চড়ালেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কটাক্ষবাণ শানিয়ে শমীকের সাফ কথা, “সাম্প্রতিককালে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বশেষ যে নাটক উপস্থাপিত করেছে সেটা লিওনেল মেসি। ভোটের তহবিলের জন্য তৃণমূল আর একটা অর্গানাইজড লুঠ করেছে।”
একদিন আগেই আবার যুবভারতী-কাণ্ডে তদন্ত চলাকালীন সময়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দেন। যা নিয়েও নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। যদিও এদিন ফের এ নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা যায় শমীক ভট্টাচার্যকে। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “যাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক লুঠ করল তাঁরা কোথায়? মেসিকে প্রথম ২৫ কোটি টাকা অগ্রিম কে করেছে? এর মধ্যে গোটা তৃণমূল দল যুক্ত। শুধু একজন ক্রীড়ামন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে নাটক করা হচ্ছে। ডিজিকে কে পরিচালনা করে তো সরকার। আমাদের ক্রীড়ামন্ত্রী আবেগতাড়িত বাংলায় একটা পদত্যাগপত্রও দিয়ে দিয়েছেন। তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। সেটা যদিও ঢেকেও ফেলেন তাও শাকটাকে ঢাকতে পারবেন না।”
এদিকে মেসি আগমনের দিন যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের কথা ভেসে উঠেছিল। শোনা গিয়েছিল G.O.A.T কাপের কথা। যদিও শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত জানিয়ে দেন, G.O.A.T কাপে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান মেসি অল স্টার্স ও ডায়মন্ড হারবার এফসি মেসি অল স্টার্স। এদিকে ডায়মন্ড-হারবার এফসি-র সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম যে এক ব্র্য়াকেটে আসে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারই আবার অভিষেকের দল ডুরান্ড কাপের ফাইনাল খেলেছে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে। এই ইস্টবেঙ্গলকেও মেসির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন শতদ্রু দত্ত।
এই প্রেক্ষাপটে আবার যুবভারতী-কাণ্ডে মোহনবাগানকে বেশ কিছু উপদেশ দিতে দেখা গেল শমীক ভট্টাচার্যকে। ইতিহাস মনে করিয়ে তিনি বলেন, “মোহনবাগানের প্রতিটা সমর্থক, খেলোয়াড়ের কাছে আমি আবেদন করব এসবের মধ্যে ঢুকবেন না। মোহনবাগানের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামের একটা নির্দিষ্ট অতীত জড়িয়ে আছে, একটা ঐতিহ্য আছে। এ সমস্ত চক্করের মধ্যে ঢুকবেন না। এতে মোহনবাগানের সমর্থকদের আবেগ আহত হচ্ছে।”