Dr. S P Das: ‘মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক বলেই কী…’, এবার মুখ খুললেন ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র চিকিৎসক এসপি দাস

Tanmoy Bairagi | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 17, 2024 | 12:57 PM

Dr. S P Das: এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসপি দাস বলেন, "আমি তো নবান্ন বা স্বাস্থ্য ভবনে বসি না। আমি নিজের প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যস্ত থাকি।" তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক বলে কারোর কোনও অনুরোধ থাকলে তিনি সরাসরি জানাতেন।

Dr. S P Das: মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক বলেই কী..., এবার মুখ খুললেন উত্তরবঙ্গ লবির চিকিৎসক এসপি দাস
বাঁ দিকে, অস্থি শল্য চিকিৎসক এসপি দাস
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: যাঁকে ঘিরে এতদিনের অভিযোগ, সেই উত্তরবঙ্গ লবির ‘অলিখিত অভিভাবক’। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ অস্বীকার করলে অস্থি ও শল্য চিকিৎসক এসপি দাস। এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ অস্বীকার করলেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। উঠে আসে উত্তরবঙ্গ লবির কথা। অভিযোগ ওঠে, এসপি দাসই এ সব কিছুর আসল মাথা।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসপি দাস বলেন, “আমি তো নবান্ন বা স্বাস্থ্য ভবনে বসি না। আমি নিজের প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যস্ত থাকি।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক বলে কারোর কোনও অনুরোধ থাকলে তিনি সরাসরি জানাতেন।

একাধিক মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সে কোনও চিকিৎসকদের বদলি সংক্রান্ত ইস্যুই হোক কিংবা প্রভাব খাটিয়ে কোনও ছাত্রছাত্রীর নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একাধিক বিষয়ে চিকিৎসকদের মুখে এসপি দাস নামটা উঠে এসেছে।

একাধিক চিকিৎসক সংগঠন বারবার অভিযোগ করেছেন, বিশেষ একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সেই গোষ্ঠীর কেউ কেউ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তারপর সেই গোষ্ঠীটির নাম হয়ে গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ লবি। তার মাথাতেই রয়েছেন চিকিৎসক শ্যামাপদ দাস ওরফে এসপি দাস।  চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র বলেন, “এই যে দুর্নীতির সঙ্গে যাঁদের নাম উঠে আসছে, সন্দীপ ঘোষ, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে- এঁদের কে চালাতেন? সার্বিক মাথা কে?”

বারবার এসপি দাসের নাম উল্লেখ করেছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন, এমনকি রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্বরাও। বিশেষ করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্যে এস-পি দাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এমনকি সিপিএম, কংগ্রেসের তরফেও সওয়াল করা হয়েছিল, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওলিগলিতে কী হবে, তা সবটাই নাকি নির্ধারিত করতেন এসপি দাস।সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন করেন, “স্বাস্থ্য দফতরটা কি পুরোটাই এসপি দাস চালাতেন? মুখ্যমন্ত্রী কি কিছুই জানতেন না? নাকি স্বাস্থ্যসচিবও কিছু জানেন না।”

তবে এতদিন পর মুখ খুলেছেন এসপি দাস। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমার নাম কেন উঠছে? আমি অস্বস্তিতে রয়েছি। আমি নিজের প্র্যাকটিস নিয়েই ব্যস্ত থাকি।”

Next Article