DSO: ১১ কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে অবস্থান, মহিলা কর্মীদের চুলের মুঠি ধরে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
DSO: ছেলে পুলিশ কর্মীরাই মহিলাদের টেনে অবস্থান থেকে সরানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
কলকাতা: বাঁকুড়ায় ১১ জন ডিএসও কর্মীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠনের। শনিবার সকালে সেই কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র কলেজ স্ট্রিট চত্বর। অভিযোগ, মহিলা ডিএসও সদস্যদের চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে তুলকালাম বেঁধে যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। অভিযোগ, পুরুষ পুলিশ কর্মীরাই মহিলাদের টেনে অবস্থান থেকে সরানোর চেষ্টা করে। তারাই মহিলাদের প্রিজন ভ্যানে তোলে, এমন কী লাঠি দিয়ে মারধরও করে বলে অভিযোগ।
ডিএসও-এর রাজ্য সভাপতি শামসুল আলমের কথায়, “এই করোনা কালে মানুষের যে আর্থিক বিপর্যয়, তার জন্য আমরা দাবি করেছিলাম সমস্ত স্তরে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি মকুব করতে হবে। রেজাল্ট বিভ্রাট নিয়ে গত ২৬ তারিখ আমাদের অবরোধ কর্মসূচি ছিল। সেই সময় আমাদের শতাধিক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছিল। বাঁকুড়ায় ১১ জনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করে। তারই প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ডিএসও-এর এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীনই হঠাৎই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সংগঠনের কর্মীরা। টানা হেঁচড়া শুরু হয় দু’পক্ষের। বিক্ষোভ ছত্রখান করতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছলে কার্যত খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নেয় এলাকা।
এক ডিএসও নেত্রীর কথায়, “আমরা ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন করছিলাম। অকারণে পুলিশ এসে আমাদের ছত্রখান করল। আমাদের মহিলা কর্মীদের পুরুষ পুলিশও টেনে চুলের মুঠি ধরে প্রিজন ভ্যানে তুলল। মহিলা পুলিশ ছাড়া কী ভাবে এমনটা করল?”
অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই কাজ হারিয়েছেন। অনেকে কাজে যেতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেকের পক্ষে সন্তানের স্কুলের বেতন দেওয়া কষ্টকর হচ্ছে। এদিকে, করোনা কালেও অনেক স্কুল বেতন বাড়িয়ে দিয়েছে। তার প্রতিবাদে অভিভাবকদের বিক্ষোভের একাধিক উদাহরণ সামনে এসেছে। এবারে বিক্ষোভে ডিএসও। আরও পড়ুন: ১৫.৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙা হচ্ছে ‘অভিশপ্ত’ পোস্তা উড়ালপুল, নতুনের সম্ভাবনা ক্ষীণ