কলকাতা: করোনা, লকডাউন-পর্বের পর আজ রবিবার ক্রিকেটের নন্দনকাননে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এদিন ইডেন গার্ডেন্সে ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ডের তৃতীয় টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। স্বভাবতই এই ম্যাচ ঘিরে তাতছে তিলোত্তমা। কলকাতা পুলিশ, রাজ্য প্রশাসনও সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। কোভিড বিধির জেরে রাতের যে নৈশ কড়াকড়ি, এদিন সেক্ষেত্রেও আনা হয়েছে শিথিলতা।
শনিবারই নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২১ নভেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ থাকার কারণে রাতের বিধি নিষেধ কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। প্রতিদিন রাত ১১ টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাস্তায় বেরোনোর ক্ষেত্রে যে বিধি নিষেধ রবিবার তা বলবৎ হবে রাত ১টা থেকে। অর্থাৎ এদিন রাত ১ টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশবিধি বলবৎ থাকবে ইডেনে ম্যাচের জন্য।
দু’ বছর আগে ভারত-বাংলাদেশ গোলাপি টেস্ট আয়োজিত হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্সে। এরপর ২০২০-র মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্য তা সম্ভব হয়নি। বাতিল হয়ে যায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। এতদিন পর আবার রবিবারের কলকাতায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কলকাতায়।
ম্যাচের দু’ দিন আগে থেকেই ইডেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করে রেখেছে কলকাতা পুলিশ। তিনটি আলাদা আলাদা শিফটে নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। প্রত্যেক শিফটের দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদাধিকারী আধিকারিক। এর পাশাপাশি মাঠের ভিতরের নিরাপত্তার জন্য ইডেন গার্ডেন্সকে চারটি পৃথক সেক্টরে ভাগ করেছে কলকাতা পুলিশ। প্রত্যেকটি সেক্টরের দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে ডিসি পদাধিকারী। ক্লাব হাউস ও মাঠের বাউন্ডারির ভিতরের অংশের দায়িত্বেও একজন করে ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক থাকছেন।
অন্যদিকে ইডেন গার্ডেন্সের বাইরের অংশকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করেছে কলকাতা পুলিশ। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটা সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন একজন করে ডিসি পদাধিকারী। ম্যাচ শেষে বেরোনোর পর দর্শকদের নিরাপত্তার জন্য ইডেন সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ডগুলিতেও বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাঠের বাইরে পাঁচটি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, মাঠের চারপাশে নজর রাখার জন্য ৯ টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম এবং ১১টি বালির বাঙ্কার।
ইতিমধ্যেই কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং কবি সুভাষ স্টেশনের দিকে আপ-ডাউন মিলিয়ে এক জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড বিক্রির জন্য এসপ্ল্যানেড স্টেশনে বুকিং কাউন্টার খোলা থাকবে। কোনও টোকেন দেওয়া হবে না। যাত্রীদের সুবিধার্থে আপ-ডাউন উভয় দিকে সমস্ত স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে। উল্লেখ্য, রবিবার ১২০টি মেট্রো চলাচল করলেও অতিরিক্ত পরিষেবা হিসেবে এই ট্রেন চালানো হবে।
আরও পড়ুন: রাতেই এসএসকেএমে মৃত্যু গুলিবিদ্ধ ক্যানিংয়ের যুব তৃণমূল সভাপতির