AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dumdum Murder Case: চিঠিতে লেখা ছিল দাহ করার কথাও, প্যানিক অ্যাটাকই শেষ করে দিল দমদমের এই পরিবারকে!

Dumdum murder case: ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ জানাচ্ছে, স্ত্রী ও মেয়ের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পুলিশ আধিকারিদের মধ্যে।

Dumdum Murder Case: চিঠিতে লেখা ছিল দাহ করার কথাও, প্যানিক অ্যাটাকই শেষ করে দিল দমদমের এই পরিবারকে!
খুন করা হয় স্ত্রী ও মেয়েকেImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2023 | 10:58 AM
Share

দমদম: বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে সোজা রেল লাইনে ঝাঁপ! দমদমের ঘটনায় উঠে আসছে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য। উদ্ধার হওয়া প্রেসক্রিপশন বলে প্রাক্তন সেনাকর্মী গৌতম বন্দোপাধ্যায়ের মানসিক অবস্থা ভাল ছিল না। মানসিক অসুস্থতা কতটা চরম পর্যায়ে পৌঁছলে কেউ এমনটা করতে পারে, তা নিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলার কথাও ভাবছে পুলিশ। গৌতম বন্দোপাধ্যায়ের পকেট থেকে তাঁর প্রতিবেশীকে লেখা একটি চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। আর সেই চিঠিতে তিনি বলে দিয়েছিলেন, কোথায় দাহ করতে হবে তাঁদের।

শুক্রবার মধ্যমগ্রামে স্টেশনে রেল লাইন থেকে উদ্ধার হয় ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর দেহ। পরে পুলিশ তাঁর বাড়ি সন্ধান করে পৌঁছে দেখে ফ্ল্যাটে তালা ঝোলানো। তালা খুলতেই দেখা যায়, পড়ে রয়েছে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত দেহ। সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছিল তাঁদের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েকে নিজে খুন করেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তিনজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ জানাচ্ছে, স্ত্রী ও মেয়ের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। শুধুমাত্র গলা ও হাতের শিরাই কাটা হয়নি, দেহে একাধিক জায়গায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেই উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। তবে কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পুলিশ আধিকারিদের মধ্যে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রাক্তন সেনাকর্মী গৌতম বন্দোপাধ্যায় মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর বাড়ি থেকে কিছু প্রেসক্রিপশন উদ্ধার হয়েছে, যা থেকে পুলিশ অনুমান করছে, প্যানিক অ্যাটাক আসত ওই ব্যক্তির। চিকিৎসা এবং কাউন্সিলিংও চলছিল তাঁর।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে সেনা কর্মী হিসেবে কাশ্মীরে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন গৌতম বাবু। এরপর থেকেই নাকি মৃত্যু ভয়ে ভুগতেন তিনি। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর থেকে সেই অবসাদই চরম আকার নেয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেটাই এই ঘটনার পিছনে আসল কারণ কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তথ্য-প্রমাণ ও নমুনা সংগ্রহ করেছে দমদম পুলিশ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল যাচ্ছে ঘটনাস্থলে।