কলকাতা : বাঙালির জন্য গর্বের খবর। ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেল বাঙালির প্রিয় দুর্গা পুজো। ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হচ্ছে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ১৬ তম অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
? BREAKING
Durga Puja in Kolkata has just been inscribed on the #IntangibleHeritage list.
Congratulations #India ??! ?
ℹ️https://t.co/gkiPLq3P0F #LivingHeritage pic.twitter.com/pdQdcf33kT
— UNESCO ?️ #Education #Sciences #Culture ??? (@UNESCO) December 15, 2021
পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ” এই উৎসব ধর্ম, লিঙ্গ এবং সমস্ত অর্থনৈতিক স্তরের বাধাগুলি পেরিয়ে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করার পদ্ধতির জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল।”
ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, “দুর্গা পুজাকে ধর্ম ও শিল্পের সর্বজনীন মিলন ক্ষেত্রের সর্বোত্তম উদাহরণ হিসাবে দেখা হয় এবং সহযোগী শিল্পী ও ডিজাইনারদের জন্য একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র হিসাবে দেখা হয়। এই উৎসব শহুরে এলাকায় বড় আকারের পালিত হয় এবং মণ্ডপগুলির পাশাপাশি রয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢাক এবং দেবীর পূজা।” উৎসব চলাকালীন সব শ্রেণি, ধর্ম এবং জাতিগত বিভাজন ভেঙে দর্শকদের ভিড়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই গোটা প্রক্রিয়াই ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছে ইউনেসকোর দরবারে।
শেষবার ২০১৭ সালে এই স্বীকৃতি পেয়েছিল কোনও ভারতীয় উৎসব। সেই বছর কুম্ভ মেলাকে এই হেরিটেজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এবং তার আগে ২০১৬ সালে যোগচর্চাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল একটি ভারতীয় উত্সব 2017 সালে কুম্ব মেলা এবং 2016 সালে যোগের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি পেয়েছিল৷ তারও আগে ২০১৪ সালে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার কারুকাজ সাংস্কৃতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০১৩ সালে মণিপুরের সংকীর্তন অনুষ্ঠানের গানকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দিয়েছি ইউনেসকো৷
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ছৌ লোকনৃত্য ২০১০ সালে এই স্বীকৃতি পেয়েছিল। ওই একই সঙ্গে স্বীকৃতি পেয়েছিল কেরলের মুদিয়েত্তু লোক নৃত্যনাট্য এবং রাজস্থানের কালবেলিয়ে লোকগীতি। এর পাশাপাশি কুটিয়াত্তম সংস্কৃত থিয়েটার, রামলীলা, বৈদিক জপের ঐতিহ্য এবং লাদাখের বৌদ্ধ নাম-জপও এই স্বীকৃতি পেয়েছে।
এর আগে সেপ্টেম্বরে, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতর কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। পরবর্তীতে রাজ্যের প্রস্তাবকে সমর্থন করে কেন্দ্র এবং বিষয়টি ইউনেসকোর কাছে পেশ করা হয়। এরপর আজ ইউনেসকোর নয়াদল্লি অফিসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই স্বীকৃতির কথা নিশ্চিত করা হয়।