কলকাতা: পুজো মামলায় (Durgapuja Guideline) এবার এজিকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পুজোর মানা হচ্ছে না বিধি নিষেধ। অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ মামলাকারী। দুপুর ১২.৫৫ মিনিটে এজিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুরুতেই এজি জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে পুজোয় রাজ্য সরকার গত বছর যে গাইড লাইন মানা হয়েছিল, এবারও তাই করা হবে। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এজি স্বয়ং এসে আদালতে একথা জানিয়েছিলেন। ফলে কলকাতা হাইকোর্ট ধার্য করেছিল, এবছর আর নতুন করে কোনও গাইড লাইন দেওয়া হবে না। রাজ্য সরকার গত বছর যে নির্দেশিকা তৈরি করেছিল, এবারও তাই অনুসরণ করা হবে।
রাজ্য সরকার এরই মধ্যে পুজোর ১১ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা থেকে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য পৃথক গেট রাখার কথা বলা হয়েছে। আইনজীবীর মতে, হাইকোর্টের নির্দেশে এইগুলির কোনওটাই করার কথা নয়। তাই আদালত অবমাননার মামলা করা হচ্ছে।
এদিন মামলকারী আদালতের ফের বলেন, গত বছর নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে প্রবেশ পথ কিংবা বাহির পথ আলাদা করে কিছু থাকবে না। সিঁদুর খেলার ওপরেও বিশেষ বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। কিন্তু এবারের সার্কুলারে দেখা যাচ্ছে, সেখানে সিঁদুর খেলার অনুমতি দেওয়া রয়েছে। প্রত্যেক মণ্ডপে প্রবেশ ও বাহির পথও আলাদা আলাদা ভাবে দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারও পুজোতে মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারই এ কথা জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা পরিস্থিতিতে পুজো মণ্ডপগুলিতে যাতে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা হয়, সেই দাবিতেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, গত বারের মতো এবারও মণ্ডপে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। রাজ্যও আদালতের সেই নির্দেশকে শিরোধার্য করেছে। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজোর মণ্ডপগুলিতেও এই বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে। গত বছর অজয় দে নামে এক ব্যক্তির জনস্বার্থ মামলার নিরিখে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ১০ মিটারের মধ্যে কোনও ভাবেই কোনও দর্শক মণ্ডপে থাকবেন না। এবছর রাজ্য সরকার হাইকোর্টের ‘নো এন্ট্রি’ নির্দেশ ভঙ্গ করছে বলে মামলা করেন এক আইনজীবী।
ওই মামলাকারী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের এবছরের সার্কুলারে অনুযায়ী, পুজো মণ্ডপে বহু মানুষের ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। আদালতের নির্দেশ অবমাননা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন তিনি। এতেই এজিকে ১টার সময়ে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবছর রাজ্য সরকার আদৌ গাইডলাইনে কী কী পরিবর্তন আনছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Government Hospital: সরকারি হাসপাতালের সেই একই ‘রোগ’! পঙ্গু হতে বসেছেন বছর তেইশের মহাদেব