East Bengal: মেলাল ইলিশ মেলাল! মোহন বাগানি বন্ধুকে খাওয়াতে জোড়া ইলিশ কিনলেন ইস্ট বেঙ্গল সমর্থক
East Bengal: রবিবার কলকাতার বাজারে ছোট-বড় ইলিশ কমবেশি ৮০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত কিলোদরে বিকোচ্ছে। তবে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের পর ইলিশির বিকিকিনি বেড়ে যাওয়ায় খুশি মাছ বিক্রেতারাও।
কলকাতা: চলতি মরসুমে শুরু থেকেই কলকাতার বাজারগুলিতে ইলিশের কাটতি বেশ ভালই ছিল। রবিবারগুলিতে তো তিল ধারণের জায়গা থাকে না মানিকতলা থেকে গড়িয়াহাটে। এরইমধ্যে এই রবিবারও রুপালি ইলিশে জমে উঠেছে কলকাতার (Kolkata) রবিবাসরীয় বাজার। তার সঙ্গে অতিরিক্ত পাওনা ইস্ট বেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের ডার্বি জয়ের আনন্দ। একদিন আগেই মোহন বাগানকে হারিয়ে ডার্বিতে নয়া রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ইস্ট বেঙ্গল। আর তাতেই যেন রবিবার সকালে আরও জমে উঠেছে ইলিশের কেনাকাটা। অনেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থকই সকাল থেকে ভিড় করেছেন মাছের বাজারে। মনে বাগান বধের আনন্দ নিয়ে কেউ রবিবার দুপুরে পাতে রাখতে চাইছেন ভাপা ইলিশ, কেউ আবার সরষে ইলিশ।
তবে মোহনবাগার সমর্থকদের দেখা যে একদম মিলছে না এমনটা নয়। ইলিশের লোভ সামলাতে পারছেন না তাঁরাও। এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক তো একেবারে তাঁর মোহনবাগানি বন্ধুকে ধরে নিয়ে চলে এসেছেন মানিকতলা বাজারে। হাসতে হাসতে বলছেন, “ও তো মোহনবাগান সমর্থক। কাল তো আমরা জিতেছি। তাই ওকেও একটু আনন্দের ভাগ দিতে চাই।” বন্ধুর রসিকতা ভরা খোঁচা শুনে ক্যামেরার সামনে হেসে ফেললেন ওই মোহনবাগান সমর্থকও। বললেন, “খাওয়াচ্ছে খাব। তবে দুঃখ তো রয়েছে মনে। কী আর করা যাবে।”
ছোট থেকেই ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করেন সুদীপ্তবাবুও। এদিন তিনিও এসেছিলেন মানিকতলা বাজারে। ইস্টবেঙ্গল প্রসঙ্গ উঠতেই ইলিশ হাতে আবেগে ভাসলেন তিনি। আবেগতাড়িত হয়ে বললেন, “ইস্টবেঙ্গল তো অনেকদিন পর জিতল। খুবই ভাল লাগছে। এই জয় শুধু ইস্টবেঙ্গলের নয়, গোটা পৃথিবীতে যত অভিবাসী রয়েছেন তাঁদেরও আজ আনন্দের দিন। ইস্টবেঙ্গল তো শুধু একটা ফুটবল ক্লাব নয়। তাঁদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে দেশভাগের ইতিহাস। তাই আজ তো একটা খুশির দিন বটেই। তার উপর আজ বৃষ্টি পড়ছে সকাল থেকেই। দুই মিলে আজ তো ইলিশ খাবার খুবই ভাল দিন। এখন শুধু বাকি রান্নার।” কলকাতার বাজারে ছোট-বড় ইলিশ কমবেশি ৮০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত কিলোদরে বিকোচ্ছে। তবে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের পর ইলিশির বিকিকিনি বেড়ে যাওয়ায় খুশি মাছ বিক্রেতারাও।