Bangla NewsKolkata EC Deploys ‘Special 13’ in Bengal: 12 IAS Officials and Veteran Observer to Monitor SIR, Voter Safety
SIR in Bengal: বাংলার ক্যাডার, SIR-এর কাজ দেখবে কমিশনের ‘স্পেশাল ১৩’! এঁদের পরিচয় জানেন?
Election Commission Special 13: রাজ্য়ে এসআইআর-এর অগ্রগতি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বার্তা। বিএলওদের নিরাপত্তার মতো একাধিক বিষয়ে নজরদারি চালাবেন ১২ জন পর্যবেক্ষক। তারপর সেই ভিত্তি রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাবেন আগত বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তের কাছে।
কলকাতা: কমিশনের ‘স্পেশাল ১৩’। শুনতে একেবারে সিনেমার মতো। তবে বাস্তবে সেই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ প্রয়োগ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বাংলার জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের। পাঠিয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। সঙ্গে আবার তাঁর সঙ্গেই জুড়ে দিয়েছেন রাজ্যের ১২ জন আইএএস পদমর্যাদা সম্পন্ন আধিকারিককে। তাঁরা দায়িত্ব পেয়েছে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের।
কিন্তু এই বিশেষ পর্যবেক্ষক টিমের কাজটাই বা কী?
রাজ্য়ে এসআইআর-এর অগ্রগতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বার্তা, বিএলওদের নিরাপত্তার মতো একাধিক বিষয়ে নজরদারি চালাবেন ১২ জন পর্যবেক্ষক। তারপর সেই ভিত্তি রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাবেন আগত বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তের কাছে।
স্পেশাল টিমের স্পেশাল পরিচয়
কমিশনের এই ‘স্পেশাল ১৩’-এর মাথায় সুব্রত গুপ্ত। তিনি ১৯৯০ সালের আইএএস ব্যাচের অন্তর্গত অবসরপ্রাপ্ত আমলা। সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। তাঁকেই জেলাভিত্তিক রিপোর্ট পাঠাবেন নিযুক্ত ১২ জন আইএএস আধিকারিক। এঁরা প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গ ক্য়াডারের অফিসার।
কারা তাঁরা? কী তাঁদের পরিচয়?
কমিশনের পাঠানোর নির্দেশিকায় প্রথমেই রয়েছে স্মিতা পাণ্ডে। তিনি ২০০৫ সালের আইএএস ব্যাচ। দায়িত্ব সামলেছেন রাজ্যের শিল্প পুনর্গঠন দফতরের সচিবের। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের।
এরপর রয়েছেন তন্ময় চক্রবর্তী। তিনি ২০০৬ সালের ব্যাচের আইএএস। দায়িত্ব সামলেছেন পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরের। বর্তমানে শ্রম দফতরের ইএসআই প্রকল্পের ডিরেক্টর। এই আধিকারিকের কাঁধে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহের দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন।
উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা (উত্তর)-এর দায়িত্ব পেয়েছেন রণধীর কুমার। তিনি ২০০৬ সালের ব্য়াচের আইএএস অফিসার। বর্তমানে ট্রেজার ও অ্যাকাউন্ট বিভাগের ডিরেক্টর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা (দক্ষিণ)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সি মুরুগানকে। তিনি বর্তমানে NSATI-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর পদে রয়েছেন।
আইএএস আর অর্জুন পেয়েছেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির দায়িত্ব। বর্তমানে এই আধিকারিক নিযুক্ত রয়েছেন শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সচিব পদে।
আইএএস রাজীব কুমারকে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার দায়িত্ব। তিনি ১৯৯৭ সালের ব্যাচের অফিসার। বর্তমানে NSATI এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল পদে রয়েছেন।
দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের দায়িত্ব পেয়েছেন ১৯৯৮ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার নীলম মীনা। তিনি বর্তমানে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রধান সচিব পদে রয়েছেন।
দুই দিনাজপুরের দায়িত্বে রয়েছেন ২০০১ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার অশ্বিনী কুমার যাদব। তিনি বর্তমানে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের কমিশনার পদে রয়েছেন।
দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ২০০৭ সালের আইএএস ব্যাচের ক্যাডার নিরঞ্জন কুমার। তিনি বর্তমানে সমবায় দফতরের রেজিস্ট্রার পদে রয়েছেন।
২০০৮ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার দেবী প্রসাদ করানাম পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার দায়িত্ব। এককালে বীরভূমের জেলাশাসক ছিলেন তিনি। বর্তমানে সমবায় দফতের রেজিস্ট্রার পদে রয়েছেন।
নদিয়া জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন রচনা ভগৎ। ২০০৯ সালের ব্যাচের এই আইএএস অফিসার রয়েছেন ICDS প্রকল্পের ডিরেক্টর পদে।
হুগলি জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন ২০১০ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার ডক্টর বিশ্বনাথ।