EC ON SIR: আধার কার্ড কি নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রের নথি হিসাবে গণ্য হবে? আজ বাংলায় এসে স্পষ্ট করলেন জ্ঞানেশ ভারতী

EC ON SIR: বিহারের SIR-এর ক্ষেত্রেও এই একই বিষয়টি ইস্যু হয়েছিল। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এখনও মামলা চলছে।  SIR এর তালিকায় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ১১ টি নথি রয়েছে। অতি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্বের নথির তালিকায় ১২ নম্বর হিসাবে আধার কার্ডকে যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছে।

EC ON SIR: আধার কার্ড কি নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রের নথি হিসাবে গণ্য হবে? আজ বাংলায় এসে স্পষ্ট করলেন জ্ঞানেশ ভারতী
CEO জ্ঞানেশকুমার ভারতী Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 08, 2025 | 5:31 PM

কলকাতা: আধার কার্ড কি SIR এর ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রের নথি হিসাবে গণ্য হবে? বুধবার বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের টিমের প্রতিনিধিদের সরাসরি এ প্রশ্ন করা হয় রাজ্য প্রশাসনিক কর্তাদের তরফে। সূত্রের খবর,  উত্তরে সিইও এবং জ্ঞানেশ ভারতী জানান, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আধার শুধু পরিচয়পত্র। এটা কোন ঠিকানা বা নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। আধারকে আরেকটি পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য করা হবে। এর বেশি গুরুত্ব দেবে না ইসিআই।

উল্লেখ্য, বিহারের SIR-এর ক্ষেত্রেও এই একই বিষয়টি ইস্যু হয়েছিল। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এখনও মামলা চলছে।  SIR এর তালিকায় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ১১ টি নথি রয়েছে। অতি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্বের নথির তালিকায় ১২ নম্বর হিসাবে আধার কার্ডকে যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছে। কিন্তু সেটি বিহারের বিশেষ একটি মামলার প্রেক্ষিতেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলায় আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে গণ্য করা হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, যাঁদের বাবা মায়ের নাম ২০০২ ভোটার তালিকায় না থাকে তাহলে কী হবে? কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ,  তাদের জন্য ইনকোয়ারি বা হিয়ারিং করতেই হবে।

এদিনের বৈঠকে ডেপুটি আইটি সীমা খান্না বলেন,  “বিএলও-দের ক্ষমতা অনেক। আপনারা শুদ্ধতার সঙ্গে কাজ করুন।” ফোনে বিএলও অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নতুন নতুন মডিউওল আসবে সেগুলি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।  কোনও সমস্যা হলে কমিশনের দেওয়া নম্বর সরাসরি ফোন করে সমস্যা জানানোর কথাও বলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত,  বিএলও-দের ভূমিকা নিয়েই সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের তরফে। সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের দিয়েই কি বিএলও-রা কাজ করবেন? বাকিরা কাজ করবেন না? সেই বিষয়টি নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিস্তর আলোচনা হয়। বিএলও-দের মনোবল বৃদ্ধি করতে উৎসাহ দেন সীমা খান্না। পাশাপাশি তাঁদের যে কোনও পরিস্থিতিতে স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন।