কলকাতা: ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অভিযানে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে ইডি অফিসারদের। বিবৃতিতে ইডি দাবি করেছে, প্রাণে মারার উদ্দেশে আক্রমণ করা হয়েছিল। সূত্রের খবরে জানা যায়, ইডি অফিসাররা যখন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর একাধিকবার ইডি অফিসেও যেতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের। এবার হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করল, এফআইআর-এর বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না, অথচ পুলিশ বারবার যাচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে।
গত শুক্রবার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আচমকা হামলার মুখে পড়তে হয় ইডি-কে। সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও বেনজির আক্রমণের মুখে পড়েন আধিকারিকরা। কার্যত প্রাণ বাঁচিয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁদের। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান। এই ইস্যুতে রাজ্য পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
সন্দেশখালির সেই হামলা নিয়ে এবার হাইকোর্টে মামলা করেছে ইডি। ইডি-র অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি অফিসাররা। উল্টে তাঁদের অফিসারদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। অথচ বসিরহাট কোর্টে খোঁজ করেও তেমন কিছু জানা যায়নি বলে দাবি ইডি-র।
আদালতে ইডি জানিয়েছে, ওয়েবসাইটেও এফআইআর-এর কপি আপলোড করা হয়নি, অথচ পুলিশ প্রতিদিন অফিসে পুলিশ খোঁজ করছে কোন কোন অফিসার সেদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হবে শুনানি। উল্লেখ্য, বুধবারও সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন বসিরহাটের ডিএসপি সানন্দা গোস্বামী।