কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তেড়েফুঁড়ে আসরে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতির সম্পত্তি ইতিমধ্যেই ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি করলেন ইডির আইনজীবী। বুধবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালতে শুনানি চলাকালীন এমন দাবি করেন ইডির আইনজীবী। তিনি শুনানিতে বলেন, “দুর্নীতির সম্পত্তি ১৫০ কোটি ছাড়িয়েছে। প্রত্যেকদিনই তো কোটি কোটি টাকা মিলছে।”
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, “দুটি নতুন কোম্পানির হদিশ মিলেছে। একটি জামাইয়ের (পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের) নামে। অন্যটির ডিরেক্টর মামা। ‘বাবলি চ্যাটার্জি ট্রাস্টে’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি মেয়ে, ট্রাস্টি জামাই।” ইডি আইনজীবীর আরও দাবি, ‘বাবলি চ্যাটার্জি ট্রাস্টে’র নামে পাটুলিতে ১৮ কাঠা জমি পাওয়া গিয়েছে। রোজই ৩০-৪০ কোটির সম্পত্তির খোঁজ মিলছে বলেই দাবি ইডি আইনজীবীর।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আগের দিন আদালতে কেঁদেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “শেষদিন অভিযুক্ত কেঁদেছিলেন। কিন্তু দেখুন এখনও কত বেকার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চোখের জল ফেলছেন।”
এর পাশাপাশি ইডি আইনজীবী আদালতে অর্পিতার এলআইসি পলিসিগুলির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এলআইসি পলিসিতে কাকু বলা হয়েছে। টাকা তিনি দিতেন। মেসেজ তাঁর কাছে আসত। আর কী প্রয়োজন?”
ইডির তরফে এদিন আদালতে আবেদন করা হয় অভিযুক্তদের জেল হেফাজত ও জেলে গিয়ে জেরার অনুমতির জন্য। অন্যদিকে পার্থর আইনজীবীর বক্তব্য, “ওনাকে প্রভাবশালী বলছে। উনি তো এখন পার্টি থেকেও সাসপেন্ডেড।” বিচারক প্রশ্ন করেন, “ওনাকে কি বহিস্কার করা হয়েছে পার্টি থেকে? অর্ডার কোথায়?” জবাবে পার্থ বাবুর আইনজীবী জানান, “আমি জানি সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেটার অর্ডার আছে।”
সঙ্গে আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় চিদম্বরমের জামিনের প্রসঙ্গও টানেন তিনি। বলেন, “চিদম্বরমকেও জামিন দেওয়া হয়েছিল, যখন তিনি কোনও পদে ছিলেন না। পার্থবাবুও কোনও পদে নেই। কেন জামিন পাবেন না?” বিচারকের প্রশ্ন, “ওই মামলায় কি কোনও টাকা উদ্ধার হতে দেখা গিয়েছিল?” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এই বিষয়ে বলেন, “প্রচুর নথি পাওয়া গিয়েছিল।”