কলকাতা: অয়নের গ্রেফতারির পর ইডি (Enforcement Directorate) আদালতে বলেছিল, তারা ‘সোনার খনির’ সন্ধান পেয়েছে। আর এবার ‘রামধনু’ দেখতে পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) জেল হেফাজতের আবেদন জানানোর সময় আদালতে এমনই বললেন ইডির আইনজীবী। ইডির আইনজীবীর বক্তব্য, ‘আমরা রামধনু দেখতে পাচ্ছি। রাজ্য তথা দেশের মানুষকে বলব, আর একটু ধৈর্য ধরুন। আমরা বসন্তের শেষে রয়েছি।’ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন আদালতে পেশ করা হলে ইডির তরফে একের এক এক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী জানান, ‘দুর্নীতিতে পার্থ যেন শিক্ষক, আর শান্তনু ছাত্র। পার্থর কায়দায় দুর্নীতি করেছে। এও দামি কোম্পানি বানিয়েছিল। টাকা ঘুরিয়েছিল।’
এদিন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন জানান। বলেন, ‘ আমার মক্কেলের কিডনির সমস্যা রয়েছে। আজ যেহেতু জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, তাই জেলে যেন পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।’ অন্যদিকে ইডির আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, ‘আমরা আগে বলেছিলাম অয়ন সোনার খনি। অয়ন শীলের বাড়ি রেইড হয়। সেটার পর থেকে এখন আর এডুকেশন স্ক্যামে সীমাবদ্ধ নেই। এখন এর সঙ্গে জুড়েছে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি। এখন বলা যায় সেই খনির পরিধি অনন্ত বা অসীম। প্রত্যেক শীতকালের পর শুষ্ক বসন্ত, তীব্র গ্রীষ্ম, বর্ষা আসে। তারপর রামধনু দেখা যায়। আমরা বলতে চাই একটু অপেক্ষা করুন। আমরা প্রায় পৌঁছে গিয়েছি।’
ইডির আইনজীবী বলেন, ‘আমরা বসন্তের শেষে পৌঁছে গিয়েছি। রামধনু দেখতে পাচ্ছি।’ এরপর শান্তনুর কীর্তি প্রসঙ্গে বলেন, ‘ আমরা পাঁচটি বেনামি সম্পত্তি আছে। তারমধ্যে ফ্ল্যাট রয়েছে। কোম্পানি পেয়েছি। ফার্ম হাউস পেয়েছি। ডামি কোম্পানি আছে। বিদ্যুৎ দফতর থেকে বছরে ৬ লাখ টাকা পেত। কিন্তু সম্পত্তি কোটি টাকার।’ শান্তনুকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানান ইডির আইনজীবী এবং তাঁকে যাতে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করা হয়।