কলকাতা: শুক্রবার ভোর থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। এদিন ভোরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয় একাধিক টিম। সকাল ৭টার কিছু আগেই একটি টিম পৌঁছে যায় লেক টাউনে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী তথা শাসক দল তৃণমূলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা সুজিত বসুর বাড়িতে। বেশ কয়েকজন আধিকারিক সোজা পৌঁছে যান মন্ত্রীর দরজায়। বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ জওয়ানরা। মন্ত্রীর পরপর দুটি বাড়ি রয়েছে। দুটিকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে রাখে।
শুধু মন্ত্রী নন, এদিন সকালেই ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে। পাশাপাশি, উত্তর দমদমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও হানা দেন আধিকারিকরা। এই তিনজনের সঙ্গে পুর নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে অনুমান ইডি-র।
তবে এদিন মন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকতে এদিন বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয় ইডি আধিকারিকদের। বারবার কলিং বেল বাজানোর পরও দরজা খুলছিলেন না কেউ। ওপার থেকে এক ব্যক্তির গলা শোনা গেলেও দরজা খুলতে রাজি ছিলেন না তিনি। বিভিন্ন রকমের অজুহাত দিয়ে সময় চাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সময় দিতে রাজি হননি ইডি অফিসার। এক আধিকারিক বাইরে থেকে বলতে থাকেন, ‘চাবি এনে দরজা খুলুন।’ এরপর দরজা খুলে দেওয়া হয়। একে একে ভিতরে প্রবেশ করেন অফিসাররা।
গত বছরের অগস্ট মাসে তলব করা হয়েছিল মন্ত্রী সুজিত বসুকে। সিবিআই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই তলব করেছিল তাঁকে। তবে সেই সময় হাজিরা দেননি সুজিত।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর যে সময় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসে, সেই সময় ওই পুরসভার উপ পুর প্রধান ছিলেন সুজিত বসু। অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর সুজিত বসুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভেবেছিল সিবিআই। কিন্তু তাতে সেই সময় কোনও লাভ হয়নি। আর এবার একেবারে মন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হয়েছে ইডি।
অন্যদিকে, তাপস রায় যে এলাকার বিধায়ক, তার অধীনেই রয়েছে বরানগর পুরসভা। সেই পুরসভার সেই পুরসভাতেও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।