কলকাতা: একে একে জামিন পেয়েছেন অনেকেই। সুদূর সেই তিহাড় থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতে রয়েছেন গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া চালকলের মালিক বাকিবুর রহমানেরও জামিনে মিলেছে মুক্তি। তবে এখনও মুক্তি মেলেনি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। শনিবার ছিল জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। আদালতে ইডি আধিকারিকরা বালুকে দুর্নীতির গঙ্গাসাগর বলে উল্লেখ করলেন। সমুদ্রের সঙ্গে তাঁকে তুলনা করে ইডি আধিকারিকরা জানালেন, ‘গঙ্গা যেমন সমস্ত কিছু সাগরে নিয়ে গিয়ে ফেলে, ঠিক তেমন ভাবেই রেশন দুর্নীতির সমস্ত লিঙ্ক গিয়ে জুড়েছে বালুর সঙ্গে।’
এখানেই শেষ নয়, আদালতে ইডির আইনজীবী এও বলেছেন,বালুই এই দুর্নীতির রিং মাস্টার। রেশন দুর্নীতির পরিচালনা করছেন তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ভুয়ো সংস্থায় দুর্নীতির টাকা গিয়েছে সব কিছু গিয়েই সেই জ্যোতিপ্রিয়র দিকে ইঙ্গিত করছে। আদালতে বালুকে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করে ইডির দাবি, সামনে না এসে পিছন থেকে দুর্নীতির সব টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন জ্যোতিপ্রিয়।
উল্লেখ্য, আদালতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে একাধিকবার রেশন দুর্নীতির জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রতিবারই বালুর আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি। এর আগে অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘ সময় এসএসকেএম হাসপাতালে কাটিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর সেই অসুস্থতা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। পরে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে আজ ফের বালুর জামিন মামলা আদালতে উঠতেই ফের বিরোধিতা করলেন ইডি আধিকারিকরা। এতে কি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর জামিন পাওয়া আরও চাপ হয়ে গেল? তা সময়ই বলবে।