কলকাতা : শনিবার সকাল থেকেই শহরে তৎপর ইডি। পার্ক স্ট্রিটের পাশাপাশি বিন্দুবাসিনী স্ট্রিটের একটি আবাসনেও এ দিন পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। যাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, তিনি একজন ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা সকালেই সল্টলেকের দফতর থেকে বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযানে যায়।
১৪ নম্বর বিন্দুবাসিনী স্ট্রিটের দ্বিতীয় তলায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, আনসার আলি নামে এক ব্যক্তির ছেলে শেহরিয়ার আলির খোঁজে এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে তিনি এ দিন বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তিনি বিভিন্ন সময় বিদেশেও গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী শেহরিয়ারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ লেনদেনের হদিশ পেয়েছে ইডি। সেই কারণেই সম্ভবত এই তল্লাশি। সেই টাকার উৎস কোথায়? তারই সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক মামলায় তদন্ত করছে ইডি। তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক নিয়োগ ও কয়লা পাচার মামলা। কিছুদিন আগেই কলকাতায় ইডির দফতরে কয়লা পাচার মামলায় হাজিরা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া জুলাই মাসের শেষের দিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল টাকা।
এ দিকে, শনিবারই পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের দুটি আবাসনে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ দিন প্রথমে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান ৩৬/১ ম্যাকলয়েড স্ট্রিটে। পরে তাঁরা যান ৩৪/এ ম্যাকলয়েড স্ট্র্রিটের আবাসনে। পেশায় আইনজীবী বাবা ও ছেলের বাড়িতে এই তল্লাশি চলে বলে সূত্রের খবর। ওয়াহিদ রহমান নামে এক ব্যক্তির খোঁজ চালানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে।