Fake Passport: বাংলাদেশে রয়েছে স্ত্রী-সন্তান, ওপার বাংলায় রয়েছে এজেন্টও, আজাদের অতীত খুঁড়ে বের করতে তৎপর ইডি

Fake Passport: এদিন আদালতে ইডি জানায়, আজাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২.৬২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এই দুর্নীতির টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কখনও ২০ লক্ষ, কখনও তার বেশি জমা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা কারা জমা দিত, কোথা থেকে কারা সেই টাকা তুলে নিত সেটা জানা জরুরি বলে জানায় ইডি।

Fake Passport: বাংলাদেশে রয়েছে স্ত্রী-সন্তান, ওপার বাংলায় রয়েছে এজেন্টও, আজাদের অতীত খুঁড়ে বের করতে তৎপর ইডি
ধৃত আজাদ মল্লিকImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Apr 16, 2025 | 4:15 PM

কলকাতা: এক বছর অন্তর ভাড়াবাড়ি বদলাতেন। ভুয়ো পাসপোর্ট বানাতে ৫ হাজার থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হত। পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় ধৃত আজাদ মল্লিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে দাবি করল ইডি। আজাদের দুটি মোবাইল ফোনও ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে।

পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিশরপাড়ায় আজাদের ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। কয়েকঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন বিচারভবনের বিশেষ ইডি আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে।

ইডি সূত্রে খবর, পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন আজাদ। তাঁর মোবাইলেই আসত পাসপোর্ট বানানোর নথি। পাসপোর্ট ছাড়াও আধার কার্ড, ভোটার কার্ডও বানিয়ে দিতেন। ভুয়ো পাসপোর্ট বানানোর জন্য ৫ হাজার থেকে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত চাইতেন আজাদ। এই চক্র যাতে ধরা না পড়ে, তার জন্য ঘন ঘন বাড়ি বদলাতেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, এক বছর ছাড়া ভাড়াবাড়ি বদল করতেন আজাদ।

আজাদ বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে ইডি। গত ১০ বছর ধরে ভারতে রয়েছেন। ভারতে তিনি ভুয়ো পাসপোর্ট, আধার বানিয়ে ফেলেছিলেন। গতকাল তল্লাশির সময় আজাদের বাড়ি থেকে তাঁর আধার, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তাঁর আধার কার্ড ও পাসপোর্টে জন্ম তারিখ আলাদা।

ইডি সূত্রে খবর, বাংলাদেশেও রয়েছে এই ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি চক্রের এজেন্ট। সেখান থেকে যাঁরা ভারতে আসতেন, তাঁরা আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। আজাদের হাত ধরে কত বাংলাদেশি ভারতে ঢুকেছেন, জানতে তৎপর হয়েছে ইডি।

ভারতে এসে আমদানি-রফতানি ব্যবসাও খুলে ফেলেছিলেন আজাদ। এবং বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের ব্যবসাও শুরু করেন। এদিন আদালতে ইডি জানায়, আজাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২.৬২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এই দুর্নীতির টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কখনও ২০ লক্ষ, কখনও তার বেশি জমা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা কারা জমা দিত, কোথা থেকে কারা সেই টাকা তুলে নিত সেটা জানা জরুরি বলে জানায় ইডি। আজাদের কাছে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা আসত বলে ইডি দাবি করে।

ইডি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে বলে জেরায় স্বীকার করেছেন আজাদ। ইডির আবেদন মেনে আজাদকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ ইডি আদালত।