কলকাতা: ইতিমধ্যেই সংস্থার বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। এবার রোজ ভ্যালি কাণ্ডে (Rose Valley Scam) সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল ইডি (ED)। রোজভ্যালিকাণ্ডে ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন গৌতম-ঘরণী শুভ্রা কুণ্ডুও। এরইমধ্যে এই প্রথম সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুন্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুন্ডুর নামে চার্জশিট জমা পড়ল। চার্জশিটে নাম রয়েছে গৌতম কুন্ডু, সুদীপ্ত রায় চৌধুরী, শিবময় দত্ত, অমিত বন্দ্যোপাধ্যাযের। একইসঙ্গে ৪০টি সংস্থার নাম রয়েছে এই চার্জশিটে। সূত্রের খবর এমনটাই।
শুভ্রা কুন্ডু রোজভ্যালির কালো টাকা অন্য ব্যবসায় খাটিয়ে সাদা করেছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে ওই চার্জশিটে। প্রসঙ্গত, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ইডি এবং সিবিআই, দুই সংস্থাই করছে তদন্ত। গৌতমের পাশাপাশি এই মামলায় তৃণমূলের দুই সাংসদ তাপস পাল এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একসময় গ্রেফতার করা হয়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতরও হয়েছিল। ২০১৩ সালে রোজ ভ্যালি দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে ইডি। ২০১৪ সালের মে মাসে রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।
ED ও CBI, দুই তদন্তকারী সংস্থাই রোজ ভ্যালির একাধিক অফিসে লাগাতার হানা দেয়। হাতে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপর্ণ তথ্য। রেইড হয় গৌতম কুণ্ডুর বাড়ি, অফিসেও। অভিযান চলে শুভ্রা কুণ্ডুর বাড়িতেও। এই সমস্ত অভিযানেই দফায় দফায় রোজ ভ্যালি গোষ্ঠীর বিভিন্ন হোটেল, বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডিমান্ড ড্রাফটের সন্ধান পান ইডির আধিকারিকরা। হাতে আসতে শুরু করে বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েশো কোটি টাকার সম্পত্তি। এবার চার্জশিট জমা পড়ায় তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতর।