Abhishek Banerjee: অভিষেককে ইডি ডাকতেই ‘প্রতিহিংসা’ তত্ত্ব তৃণমূলের, কী বললেন শমীক-সুজন

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 10, 2023 | 9:34 PM

Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দাবি, ইন্ডিয়া জোটকে ভয়ের পাশাপাশি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এসব করাচ্ছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এজেন্সিগুলি তদন্ত করে। এখানে বিজেপির কোনও ভূমিকা থাকে না। আবার সিপিএমের দাবি, তৃণমূল-বিজেপি হাত মিলিয়ে লোক দেখানো 'ডাকাডাকি' চালাচ্ছে।

Abhishek Banerjee: অভিষেককে ইডি ডাকতেই প্রতিহিংসা তত্ত্ব তৃণমূলের, কী বললেন শমীক-সুজন
ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ইডির। রবিবার অভিষেক নিজেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এ খবর জানিয়েছেন। সেদিনই দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক। এই কমিটির সদস্য ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদও। ফলে তাঁরও সেই বৈঠকে থাকার কথা। অথচ সেদিনই ইডির ডাক। অভিষেকের দাবি, কেন্দ্র এই জোটকে ভয় পেয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এগিয়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু রাজনীতির দড়ি টানাটানি। তৃণমূলের দাবি, ইন্ডিয়া জোটকে ভয়ের পাশাপাশি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এসব করাচ্ছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এজেন্সিগুলি তদন্ত করে। এখানে বিজেপির কোনও ভূমিকা থাকে না। আবার সিপিএমের দাবি, তৃণমূল-বিজেপি হাত মিলিয়ে লোক দেখানো ‘ডাকাডাকি’ চালাচ্ছে।

এই তলব প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঠিক কোন দিনগুলোকে বেছে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকছে, তা লক্ষ্য করলেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। শান্তনু সেন বলেন, “সারা দেশের মানুষ বিজেপিকে হারাতে যে বদ্ধপরিকর, ওরা বুঝে গিয়েছে। সে কারণেই তো বিজেপি বিরোধী জোট পটনায় ১৭টা দল নিয়ে শুরু হয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে ২৬ এবং মুম্বইয়ে ২৮ হয়েছে। পরবর্তীকালে আরও বাড়বে। ইন্ডিয়া জোট যত শক্তিশালী হচ্ছে, তত বিজেপি বিদায়ঘণ্টা শুনে কাঁপছে। আর অভিষেককে নিয়ে তো এটা প্রথম না। ত্রিপুরায় যেদিন অভিষেক সভা করতে যাবে, তাঁর বাড়িতে ইডি-সিবিআই। অভিষেক উত্তরবঙ্গে মিটিং করতে যাবে, সেদিন তাঁর বাড়িতে ইডি-সিবিআই। অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি করছে, সে সময় তাঁকে ডেকে পাঠানো।”

তবে শান্তনু সেন যতই ইন্ডিয়া জোটকে বিজেপি ভয় পাচ্ছে বলুন, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সেসব আমল দিতেই নারাজ। শমীক বলেন, “ইডি, সিবিআই নিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা তৃণমূল বলছে, এসব শুনে মানুষ ক্লান্ত। তদন্তকারী সংস্থা কখন, কাকে ডাকবে সেটা তো তাদেরই বিষয়। আর আমরা তো চাই ওই জোট আরও শক্তিশালী হোক। ভারতবর্ষের কোথায় কী জোট হচ্ছে আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা চাই বাংলা থেকে এই জোট আরও শক্তিশালী হোক। আরও ঐক্যবদ্ধ হোক। পর্দার আড়াল থেকে নয়। সিপিএমকে বলব, মুখোশের আড়ালে না থেকে সামনে এসে দাঁড়াক। কংগ্রেস, ছোট ভাই আইএসএফকে নিয়েও ঐক্যবদ্ধ হোক।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ডাকবে কিন্তু যাবে না, তা কতবার চলবে? আবার তার মাঝে বিদেশেও চলে গেলেন। ইডি-সিবিআই কি আদৌ অ্যাকশন নিতে আগ্রহী নাকি ডাকব আসবে-আসবে না এটাই চলবে? এখন এমন একটা দিনে ডাকল যেখানে অভিষেকের বলার সুযোগ থাকবে ওদের মিটিং আছে। বিজেপির লোক দেখানো ভাব যেন করছি কিছু। ওদিকে তৃণমূলকেও না যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হল।”

Next Article